জানিনা, আপনার জানা আছে কিনা, আপনি কিন্তু এককভাবে সৃষ্ট! বর্তমান বিশ্বে আনুমানিক সাতশত কোটি লোকের বাস রয়েছে, কতিপয় মারা যাচ্ছে আর তদস্থল পুরণ করে চলছে নতুন প্রজন্ম ভূমিষ্ঠ হয়ে; হরণ পুরণের মাধ্যমে ভারসাম্য রক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর জনসংখ্যা। খোদা আদম (আ.) কে এমনটাই দোয়া করেছিলেন।
যাকগে, যে কথা বলেছিলাম, আপনি উক্ত ৭কোটি জনতার মধ্যে হলেন একক সৃষ্টি; আপনি কারো মতো নন, অথবা আপনার মতো অন্য কেউ নয়। আপনি হলেন সম্পূর্ণ অতুল।
আমার কথাটা প্রমাণ পাবেন যখন জমি-জমা ক্রয় বিক্রয় করতে যাবেন ঠিক তখনই। আপনি যতই সুশিক্ষিত সুপন্ডিত হোন না কেন, সরকারি দলিল দস্তাবেদে আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলের টিপ সহি অবশ্যই দরকার। তার কারণ হলো, আপনার দস্তখত নকল করা সম্ভব হলেও আপনার টিপ সহির আর পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, কেননা আপনি হলেন একক সৃষ্টি!
কথায় কথায় আমরা দাবি করে বসি, ‘আমি অমুকের মতো’ হতে চাই, আসলে তা কোনো কালেও সম্ভব হবার নয়। একটি বৃক্ষ আর একটি বৃক্ষের মতো বৃদ্ধি পায় না, সঠিক যত্ন আদর পেলে উক্ত বৃক্ষটি কলায় কলায় বৃদ্ধি লাভ করতঃ একটি এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়।
আপনি একজন সুবক্তা হতে চান, নিঃসন্দেহে তেমন বাসনা উত্তম বাসনা। তাহলে আপনাকে আলোচ্য বিষয়ের উপর সবিশেষ জানতে হবে। আপনি উত্তাল সাগরে তরী ভাসাতে চান, যা প্রত্যাশার কথা। আর আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী আপনার থাকতে হবে একটি জাহাজ যা সাগরের মারাত্মক ঢেউ রোধ করার ক্ষমতা রাখবে। কলা গাছের ভেলা নিয়ে তো আর সাগর পাড়ি দেয়া সম্ভব নয়। একদিকে আপনাকে অর্জণ করতে হবে সাগর মহা-সাগর সংক্রান্ত জ্ঞান, আর একদিকে থাকতে হবে উক্ত সাগরের ঢেউ প্রতিহতকারী ব্যবস্থা যা হবে আপনার নৌযানটি উপযুক্ত। এক্ষেত্রে বলে রাখি, ‘টাইটানিক’ নিয়ে সমুদ্র ভ্রমনে নেমেছিল, আর প্রথম যাত্রায়ই তা ডুবে গিয়েছিল, যাত্রীদের ঘটেছিল সলিল সমাধি। অবশ্য দর্প ভরে নাবিকের ভাসমান হীমশৈল দেখে তা তুচ্ছজ্ঞান করার করুন প্রতিফল তাদের পোহাতে হয়েছিল।
আপনি একক সৃষ্টি, তাই বলে আপনাকে কোষবন্দি করে রাখা হয় নি। আপনাকে মুক্ত স্বাধীন করে দেয়া হয়েছে, আপনি বলবেন, চলবেন, গোটা বিশ্বের আর্তপীড়িত দুস্থদের চয়ন করবেন, ফিরিয়ে আনবেন ভুলপথ থেকে, এই মহান দায়িত্ব আপনার নির্মাতা, করুনা ও প্রেমের পারাবার, খোদা নিজেই আপনার উপর বিশ্বস্তভাবে ন্যাস্ত করেছেন। আপনি কি একবারও তাঁর সাথে কথা বলেছেন? জানিয়েছেন ধন্যবাদ! অদ্য এই মূহুর্তে তাকে সালাম ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করুন! তিনি সহাস্যে আপনার সাথে বুকে বুক মিলাবেন। মহব্বতের কারণেই তিনি তাঁর মতো করে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন; আপনি হলেন তাঁর যোগ্য প্রতিনিধি, আপনাকে দিয়েই তিনি তাঁর বাতেনি গুনাবলি জনসমক্ষে জাহির করবেন, এবং তা করার জন্য আপনাকে উপযুক্ত হয়ে ওঠতে হবে। দুর্বল ও নড়বরে জাহাজ নিয়ে সমুদ্রে নামা যেমন ঠিক হবে না, তদ্রুপ দুর্বল সন্দেহযুক্ত বিশ্বাস নিয়েও খোদার রাজ্যে বিচরণ করায় ফল শুভ হতে পারে না। খোদা ইউসা নবীকে সে জন্য বারবার তাগিদ দিয়েছিলেন। সাহস করার জন্য (ইউসা ১ ঃ ৬-৯)।
ইউসা ছিলেন একজন মানুষ, হযরত মূসা নবীর সময়কার নবী। মনে রাখতে হবে, দেশের একজন সাধারণ নাগরিক আর একজন মন্ত্রী উভয়ই নাগরিক, তবে দায়িত্ব ও পদমর্যদার প্রশ্নে থাকে ভিন্নতা। সাধারণ মানুষদেরই খোদা বাছাই করতেন, বিপন্ন বিশৃঙ্খল বখে যাওয়া মানুষদের নিজের কাছে ফিরিয়ে নেবার জন্য। তাদের একটিই দায়িত্ব, আর সে দায়িত্ব হলো মেষের রাখালের সম দায়িত্ব। পাল থেকে যেন একটি মেষও হারিয়ে না যেতে পারে, সে কারণেই রাখালের মনোনয়ন। পাল রক্ষা করা, নষ্ট করা নয়! নবী-রাসুলগণ যুদ্ধ করেছেন তাই বলে উক্ত কর্মকান্ড রেফারেন্স হিসেবে জুড়ে দেবার মতো কোনো প্রয়োজন বোধ করি না। একটি যুদ্ধ সংঘঠিত হয় এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে, বিশেষ প্রয়োজনে, নিয়ত পরিবর্তনশীল বিশ্বে সবকিছুই পরিবর্তিত হয়ে চলছে।
বিবদমান বিশ্বের প্রকৃত সমাধান হলেন বেগুনাহ মসিহ, খোদাবন্দ হযরত ঈসা কালেমাতুলাহ, যাকে রুহুলাহ বলেও ডাকা হয়; আসলে তিনি হলেন খোদার কালাম ও পাকরূহ যিনি মানবাকারে মানুষের মধ্যে নেমে এসেছেন মানুষের পাপের কাফফারা পরিশোধ দেবার জন্য। তিনি ছাড়া আর কেউ বেগুনাহ ছিলেন না, আর থাকাও সম্ভব ছিল না, কেননা সকলেই অবাধ্য আদমের ঔরষজাত সন্তান।
গোটা বিশ্ব পতিত, হারিয়ে ফেলেছে খোদার পবিত্রতা ও গৌরব। খোদাকে নিয়ে আজ যে সকল আনুষ্ঠানিকতা করতে দেখা যায়, তার সবটাই বাণিজ্যিক কর্মকান্ডের সাথে ব্লেন্ডেড অর্থাৎ মিশ্রিত হয়ে আছে। বলতে পারা যায় সন্ত্রাস ও বাণিজ্য সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য ধর্মটাকে ব্যানার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মাত্র। মিলাদ পড়ানো থেকে শুরু করে তীর্থ ভ্রমণ পর্যন্ত মবালগ টাকার প্রয়োজন, ভক্ত একা একা খোদাকে ডাকবে, তাতে সমাজের তৃপ্তি ঘটে না, তাকে একটা নির্দিষ্ট স্থানে এসে হাজির হতে হবে, চাই তার বিশেষ পোশাক, যাকে ইউনিফর্ম বলা হলে অত্যুক্তি হবে না।
ধর্মাশ্রিত বাণিজ্য বা বাণিজ্যাশ্রিত ধর্ম, কোনটা যে হবে সঠিক তা টিক দিতে গিয়ে হেরফের হয়ে যায়। আপনি একক- খোদা এককÑ আদম একক- মাঝখানে কিছুটা সহভাগিতা- তা যদি আপনাকে বিরক্ত করে বা কর্মকান্ডে মনোনিবেশে করতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে তবে তা সহজেই কুইট করা দরকার- ইব্রাহীম নবীকে খোদা সে পরামর্শই দিয়েছিলেন।
যাকগে, যে কথা বলেছিলাম, আপনি উক্ত ৭কোটি জনতার মধ্যে হলেন একক সৃষ্টি; আপনি কারো মতো নন, অথবা আপনার মতো অন্য কেউ নয়। আপনি হলেন সম্পূর্ণ অতুল।
আমার কথাটা প্রমাণ পাবেন যখন জমি-জমা ক্রয় বিক্রয় করতে যাবেন ঠিক তখনই। আপনি যতই সুশিক্ষিত সুপন্ডিত হোন না কেন, সরকারি দলিল দস্তাবেদে আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলের টিপ সহি অবশ্যই দরকার। তার কারণ হলো, আপনার দস্তখত নকল করা সম্ভব হলেও আপনার টিপ সহির আর পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, কেননা আপনি হলেন একক সৃষ্টি!
কথায় কথায় আমরা দাবি করে বসি, ‘আমি অমুকের মতো’ হতে চাই, আসলে তা কোনো কালেও সম্ভব হবার নয়। একটি বৃক্ষ আর একটি বৃক্ষের মতো বৃদ্ধি পায় না, সঠিক যত্ন আদর পেলে উক্ত বৃক্ষটি কলায় কলায় বৃদ্ধি লাভ করতঃ একটি এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়।
আপনি একজন সুবক্তা হতে চান, নিঃসন্দেহে তেমন বাসনা উত্তম বাসনা। তাহলে আপনাকে আলোচ্য বিষয়ের উপর সবিশেষ জানতে হবে। আপনি উত্তাল সাগরে তরী ভাসাতে চান, যা প্রত্যাশার কথা। আর আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী আপনার থাকতে হবে একটি জাহাজ যা সাগরের মারাত্মক ঢেউ রোধ করার ক্ষমতা রাখবে। কলা গাছের ভেলা নিয়ে তো আর সাগর পাড়ি দেয়া সম্ভব নয়। একদিকে আপনাকে অর্জণ করতে হবে সাগর মহা-সাগর সংক্রান্ত জ্ঞান, আর একদিকে থাকতে হবে উক্ত সাগরের ঢেউ প্রতিহতকারী ব্যবস্থা যা হবে আপনার নৌযানটি উপযুক্ত। এক্ষেত্রে বলে রাখি, ‘টাইটানিক’ নিয়ে সমুদ্র ভ্রমনে নেমেছিল, আর প্রথম যাত্রায়ই তা ডুবে গিয়েছিল, যাত্রীদের ঘটেছিল সলিল সমাধি। অবশ্য দর্প ভরে নাবিকের ভাসমান হীমশৈল দেখে তা তুচ্ছজ্ঞান করার করুন প্রতিফল তাদের পোহাতে হয়েছিল।
আপনি একক সৃষ্টি, তাই বলে আপনাকে কোষবন্দি করে রাখা হয় নি। আপনাকে মুক্ত স্বাধীন করে দেয়া হয়েছে, আপনি বলবেন, চলবেন, গোটা বিশ্বের আর্তপীড়িত দুস্থদের চয়ন করবেন, ফিরিয়ে আনবেন ভুলপথ থেকে, এই মহান দায়িত্ব আপনার নির্মাতা, করুনা ও প্রেমের পারাবার, খোদা নিজেই আপনার উপর বিশ্বস্তভাবে ন্যাস্ত করেছেন। আপনি কি একবারও তাঁর সাথে কথা বলেছেন? জানিয়েছেন ধন্যবাদ! অদ্য এই মূহুর্তে তাকে সালাম ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করুন! তিনি সহাস্যে আপনার সাথে বুকে বুক মিলাবেন। মহব্বতের কারণেই তিনি তাঁর মতো করে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন; আপনি হলেন তাঁর যোগ্য প্রতিনিধি, আপনাকে দিয়েই তিনি তাঁর বাতেনি গুনাবলি জনসমক্ষে জাহির করবেন, এবং তা করার জন্য আপনাকে উপযুক্ত হয়ে ওঠতে হবে। দুর্বল ও নড়বরে জাহাজ নিয়ে সমুদ্রে নামা যেমন ঠিক হবে না, তদ্রুপ দুর্বল সন্দেহযুক্ত বিশ্বাস নিয়েও খোদার রাজ্যে বিচরণ করায় ফল শুভ হতে পারে না। খোদা ইউসা নবীকে সে জন্য বারবার তাগিদ দিয়েছিলেন। সাহস করার জন্য (ইউসা ১ ঃ ৬-৯)।
ইউসা ছিলেন একজন মানুষ, হযরত মূসা নবীর সময়কার নবী। মনে রাখতে হবে, দেশের একজন সাধারণ নাগরিক আর একজন মন্ত্রী উভয়ই নাগরিক, তবে দায়িত্ব ও পদমর্যদার প্রশ্নে থাকে ভিন্নতা। সাধারণ মানুষদেরই খোদা বাছাই করতেন, বিপন্ন বিশৃঙ্খল বখে যাওয়া মানুষদের নিজের কাছে ফিরিয়ে নেবার জন্য। তাদের একটিই দায়িত্ব, আর সে দায়িত্ব হলো মেষের রাখালের সম দায়িত্ব। পাল থেকে যেন একটি মেষও হারিয়ে না যেতে পারে, সে কারণেই রাখালের মনোনয়ন। পাল রক্ষা করা, নষ্ট করা নয়! নবী-রাসুলগণ যুদ্ধ করেছেন তাই বলে উক্ত কর্মকান্ড রেফারেন্স হিসেবে জুড়ে দেবার মতো কোনো প্রয়োজন বোধ করি না। একটি যুদ্ধ সংঘঠিত হয় এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে, বিশেষ প্রয়োজনে, নিয়ত পরিবর্তনশীল বিশ্বে সবকিছুই পরিবর্তিত হয়ে চলছে।
বিবদমান বিশ্বের প্রকৃত সমাধান হলেন বেগুনাহ মসিহ, খোদাবন্দ হযরত ঈসা কালেমাতুলাহ, যাকে রুহুলাহ বলেও ডাকা হয়; আসলে তিনি হলেন খোদার কালাম ও পাকরূহ যিনি মানবাকারে মানুষের মধ্যে নেমে এসেছেন মানুষের পাপের কাফফারা পরিশোধ দেবার জন্য। তিনি ছাড়া আর কেউ বেগুনাহ ছিলেন না, আর থাকাও সম্ভব ছিল না, কেননা সকলেই অবাধ্য আদমের ঔরষজাত সন্তান।
গোটা বিশ্ব পতিত, হারিয়ে ফেলেছে খোদার পবিত্রতা ও গৌরব। খোদাকে নিয়ে আজ যে সকল আনুষ্ঠানিকতা করতে দেখা যায়, তার সবটাই বাণিজ্যিক কর্মকান্ডের সাথে ব্লেন্ডেড অর্থাৎ মিশ্রিত হয়ে আছে। বলতে পারা যায় সন্ত্রাস ও বাণিজ্য সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য ধর্মটাকে ব্যানার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মাত্র। মিলাদ পড়ানো থেকে শুরু করে তীর্থ ভ্রমণ পর্যন্ত মবালগ টাকার প্রয়োজন, ভক্ত একা একা খোদাকে ডাকবে, তাতে সমাজের তৃপ্তি ঘটে না, তাকে একটা নির্দিষ্ট স্থানে এসে হাজির হতে হবে, চাই তার বিশেষ পোশাক, যাকে ইউনিফর্ম বলা হলে অত্যুক্তি হবে না।
ধর্মাশ্রিত বাণিজ্য বা বাণিজ্যাশ্রিত ধর্ম, কোনটা যে হবে সঠিক তা টিক দিতে গিয়ে হেরফের হয়ে যায়। আপনি একক- খোদা এককÑ আদম একক- মাঝখানে কিছুটা সহভাগিতা- তা যদি আপনাকে বিরক্ত করে বা কর্মকান্ডে মনোনিবেশে করতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে তবে তা সহজেই কুইট করা দরকার- ইব্রাহীম নবীকে খোদা সে পরামর্শই দিয়েছিলেন।