চলতি বছরে টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে ছক্কা মেরেছেন ১৮ ব্যাটার। তবে আসল কাজটা করেছেন টপ–অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান—তানজিদ, লিটন, পারভেজ ও সাইফ। এই চারজনের ব্যাটেই উঠেছে ১২৭টি ছক্কা। সবচেয়ে বড় অবদান ওপেনার তানজিদ হাসানের। এক বছরে ৪১ ছক্কা মেরে তিনি গড়েছেন দেশের নতুন ব্যক্তিগত রেকর্ড। তার ঠিক পরেই আছেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন, যার ছক্কার সংখ্যা ৩৪। সাইফ হাসান ১৫ ম্যাচে মেরেছেন ২৯টি, আর লিটন দাস করেছেন ২৩টি। মিডল–অর্ডারে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন জাকের আলী, যার ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ ইনিংসে ১৯টি ছক্কা। ১০–এর বেশি ছক্কা মেরেছেন আর একজন—তাওহিদ হৃদয়, ১৪টি।
তবে গত বছরের তুলনায় হৃদয় ও জাকের দুজনেই পিছিয়ে, কারণ ২০২৪ সালে তারা করেছিলেন ২১টি করে ছক্কা। এতেই শেষ নয়—মোট রানেও ছক্কার বড় প্রভাব। এ বছরে টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ তুলেছে ৪২২৯ রান (অতিরিক্ত বাদে), যার ২৯ শতাংশই এসেছে ছক্কা থেকে। একই সঙ্গে দলটি মেরেছে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৯৮টি চার। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের শীর্ষ ৫ ছক্কাবাজ বিশ্ব ক্রিকেটের ছবিটা দেখলেও বাংলাদেশের এ অগ্রগতি চোখে পড়ে। চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছে অস্ট্রিয়া—২৮ ম্যাচে ৩২৬টি। দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান (২৩৫)। টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরই আছে বাংলাদেশ।


