শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধানরা নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের প্রস্তুতির বিস্তারিত তুলে ধরেন। তারা জানান, ৯০ হাজার সেনাসদস্য, আড়াই হাজারের বেশি নৌবাহিনীর সদস্য এবং দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য নির্বাচনকালীন দায়িত্বে মোতায়েন থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি সেনা সদস্য নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকবে বলেও বৈঠকে জানানো হয়।প্রধান উপদেষ্টা এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, “গত ১৫ মাসে আমাদের তিন বাহিনীর সদস্যরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার কারণেই দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে।” ড. ইউনূস আরও বলেন, “আসন্ন নির্বাচন যেন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়, সে বিষয়ে কোনো শৈথিল্য রাখা যাবে না। দেশের মানুষ যেন নিরাপদে ভোট দিতে পারে—এই নিশ্চয়তা দিতে হবে আমাদের সবার।” প্রধান উপদেষ্টা তিন বাহিনীর প্রধানদের নির্দেশনা দেন, নির্বাচনকালীন প্রতিটি এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখতে, যাতে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা বা সহিংসতা ঘটতে না পারে। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচন কেবল ভোটের আয়োজন নয়, এটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের প্রক্রিয়া। তাই শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও নিরাপদ নির্বাচন নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।”



