বিমান হামলায় গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া খান ইউনিসের উত্তর–পশ্চিমে আসদা এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবুতে হামলা হয়েছে। এই হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হন। সংবাদমাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের পূর্বে আবাসান এবং আজ–জান্না এলাকায় ইসরায়েলি কামান থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।
আজও গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ১১ জন নিহত
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, রোববার ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত অঞ্চলজুড়ে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে। সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, উত্তর গাজায় বেসামরিক লোকদের একটি দল লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় ছয় জন নিহত হয়েছেন। টানা দুই বছরের গণহত্যা যুদ্ধের অবসানে সম্প্রতি মার্কিন–সমর্থিত চুক্তির পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করে।
এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে উঠেছিল। ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যায়। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়। সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়। গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।