শেরপুরে জালটাকা বিতরণের ঘটনায় হেড পোস্ট অফিসের দুই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন সন্দেহের তালিকায় আছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন– পোস্ট অফিসের পোস্টাল অপারেটর মানিক মিয়া ও পোস্ট অফিসের ট্রেজারার হাফিজুর রহমান। এর মধ্যে মানিককে গত ১৬ অক্টোবর ও হাফিজুর রহমানকে শনিবার (১৮ অক্টোবর) গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৩ অক্টোবর শেরপুর সদর উপজেলার গনইমমিনাকান্দা গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ শাহিনা বেগম ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা শেরপুর পোস্ট অফিস থেকে উত্তোলন করে উত্তরা ব্যাংকে জমা দিতে যান।
উত্তরা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা গুণে নেওয়ার সময় দেখতে পান ওই টাকার মধ্যে ৫৩টি এক হাজার টাকার নোট জাল। অপরদিকে ৯ অক্টোবর দুপুরের পর শেরপুর সোনালী ব্যাংকে নুহূ নামে এক ব্যক্তি সরকারি চালানের ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জমা দিতে গিয়ে সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ২৫টি এক হাজার টাকার জাল নোট পান। ভুক্তভোগী ওই দুই গ্রাহকই শেরপুর পোস্ট অফিস থেকে টাকা একই দিনে উত্তোলন করেছিলেন। তারপর থেকে বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে প্রশাসন, পোস্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ নড়েচড়ে বসে।
সরকারের অন্তত তিনটি বিভাগ জালটাকার বিষয়ে তদন্ত করছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, মানিক মিয়া এবং হাফিজুর রহমান দুইজনকেই রোববার আদালতে উঠানো হয়। হাফিজুর রহমান জালটাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে এবং মানিক মিয়াকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৩ তারিখ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শেরপুর সদর থানার ওসি জোবাইদুল আলম বলেছেন, বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত চলছে। দুজনকে আটক করা হয়েছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।