সেনাবাহিনীর সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলিকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। জেন–জিদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। তার সহকারী প্রকাশ সিলওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। পদত্যাগের আগে তিনি দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের সঙ্গে ফোনালাপ করেন এবং তার আহ্বানেই পদত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে সূত্র। এছাড়াও তিনি দেশ থেকে নিরাপদে বের হওযার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তাও চেয়েছেন। অফিশিয়াল সূত্রে জানা গেছে, অলি সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং দেশের ক্রমাবনত পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানান। এর জবাবে জেনারেল সিগদেল বলেন, সেনাবাহিনী কেবল তখনই হস্তক্ষেপ করে দেশকে স্থিতিশীল করতে পারবে, যদি প্রধানমন্ত্রী অলি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেন। সেনা সূত্র আরও জানায়, অলি পদত্যাগ করলেই সেনাবাহিনী দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে প্রস্তুত। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন ‘বলওয়াটার’ থেকে নিরাপদে বের হওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন এবং দেশত্যাগের পরিকল্পনাও করছেন। সূত্র বলছে, অলি চিকিৎসার অজুহাতে দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন এবং বেসরকারি বিমানসংস্থা ‘হিমালয়া এয়ারলাইনস’কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
হেলিকপ্টারে সরানো হচ্ছে মন্ত্রীদের
অলি নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রীদের সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাদের বাসভবন থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে অন্তত পাঁচটি হেলিকপ্টার এই কাজে নিযুক্ত হয়েছে। কাঠমান্ডু, ললিতপুর ও ভক্তপুরে কারফিউ জারি থাকা অবস্থায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কাঠমান্ডুর দক্ষিণে অবস্থিত ভৈশেপাটির মন্ত্রী আবাসন এলাকা থেকে প্রায় এক ডজন সেনা হেলিকপ্টার কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরঅভিমুখে রওনা হয়েছে, যেখানে মন্ত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে বিমানবন্দরটি এক উত্তেজনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সমর্থকদের আহ্বান জানাচ্ছেন বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে। তারা আতশবাজি ফোটানো, ড্রোন ওড়ানো এবং বিমানের দিকে লেজার লাইট দেওয়ার মতো কাজ করতে কাজ করতে উৎসাহিত করছেন।