ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর পূর্ণ প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছেন খাতাম আল–আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টার্সের কমান্ডার। বৃহস্পতিবার এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় খাতাম আল–আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টার্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল আবদুল্লাহি এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, চাপিয়ে দেওয়া ১২ দিনের যুদ্ধে জায়নিস্ট শত্রু এবং যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের বৈরী লক্ষ্য পূরণের পথে ব্যর্থ করেছে। ইরানিদের ঐক্যের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী সবসময় দেশের নিরাপত্তা, জাতীয় স্বার্থ এবং ইসলামি বিপ্লবের অর্জন রক্ষায় পূর্ণ প্রস্তুত থাকে।
আজকের দিনে সাম্প্রতিক যুদ্ধের তুলনায় ইরানের সেনারা আগের চেয়ে আরো প্রস্তুত, আরো বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে। মেজর জেনারেল আবদুল্লাহি আরো জানান, শত্রুপক্ষ বর্তমানে দেশের ভেতরে মনস্তাত্ত্বিক ও গণমাধ্যম যুদ্ধের মাধ্যমে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে, অথচ তারা নিজস্ব অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি। গত ১৩ জুন ইসরায়েল কোনো উসকানি ছাড়াই ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালায় এবং বহু উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিককে হত্যা করে। এর জবাবে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নেতৃত্বে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ–৩’ নামে শক্তিশালী ও নজিরবিহীন পাল্টা অভিযান চালায়।
এতে প্রথমবারের মতো ইরানে তৈরি বহু নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি, গোয়েন্দা কেন্দ্র, শিল্প–কারখানা, জ্বালানি অবকাঠামো এবং গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানে। অবশেষে ২৪ জুন ইসরায়েল, আন্তর্জাতিক মহলে বিচ্ছিন্ন হয়ে, একতরফাভাবে আগ্রাসন বন্ধের ঘোষণা দেয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের হয়ে ঘোষণা করেন।