৯ আগস্ট দুপুরে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন। তিনি জানান, দেশে মোট ২৪টি স্থলবন্দর থাকলেও এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। আগে প্রাথমিকভাবে ৮টি বন্দর বন্ধের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, এর মধ্যে ৪টি ইতোমধ্যেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে চালু থাকা ২০টি বন্দরের মধ্যে কার্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছে মাত্র ১২ থেকে ১৪টি বন্দর। তিনি বলেন, ‘বছরে মাত্র ১০–৩০ হাজার টাকা আয় করে—এমন বন্দরের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয়ে আধুনিকায়নের কোনও যৌক্তিকতা নেই।‘ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘লাভজনক এবং সম্ভাবনাময় বন্দরগুলোকেই আধুনিকীকরণের আওতায় আনা হচ্ছে। এ ছাড়া কিছু নদীবন্দর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে‘ পরিদর্শনের আগে তিনি হিলি বন্দরের সভাকক্ষে কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ব্যবসায়ীরা রাস্তা সংস্কার, ওয়ারহাউজ এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং তা সমাধানের দাবি জানান। পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান, কাস্টমসের রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অরুণ কুমারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।