দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ‘ভৌতিক’ বিদ্যুৎ বিল ও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহক। বিল সংশোধনের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে ধরনা দিলেও সমাধান মিলছে না। অভিযোগ নিয়ে হিলি পল্লী বিদ্যুৎ সাবজোন অফিসে গেলে উল্টো গ্রাহকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হয়। গ্রাহকদের অভিযোগ, হিলি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী যোগদানের পর থেকেই গ্রাহকের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুতের ভৌতিক বিল। অভিযোগ নিয়ে অফিসে গেলে সুরাহা হয় না। উল্টো নানাভাবে হয়রানি হতে হয়। বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে ধরিয়ে দেওয়া হয় ডিমান্ড চার্জ ও লোড চার্জ বাবদ অন্তত হাজার টাকা। দিন–রাত ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। একবার বিদ্যু গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আসার খবর নেই। প্রতিদিন ৮–১০ বার লোডশেডিং দেওয়া হয়। রাজু আহম্মেদ নামে এক খামারি বলেন, দুই মাসে অন্তত ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল আসত। তিন মাস ধরে ১২ হাজার টাকা করে আসছে। একাধিকবার বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েছি।
তারা সমাধান না করে উল্টো দুর্ব্যবহার করেন। দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল দিলেও ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। মরে যাচ্ছে খামারের মুরগি। অটোচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, বাসায় দুটি ফ্যান, দুটি লাইট ও ভ্যান চার্জ বাবদ আগে ১৫শ টাকা বিদ্যুৎ বিল দিতাম। গত মাসে আড়াই হাজার টাকার বিল এসেছে। সঙ্গে ৯৬০ টাকা লোড চার্জ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের এজিএমের কাছে গেলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার করছি, তাই বিল বেশি আসছে। হিলি পল্লী বিদ্যুৎ সাবজোনাল অফিসের এজিএম মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, নিয়ম মেনে গ্রাহকদের ডিমান্ড ও লোডচার্জ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় ৪০ হাজার গ্রাহকের জন্য ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। ঘাটতির কারণে পাওয়া যাচ্ছে ২.৫ থেকে ৩ মেগাওয়াট। বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। বরাদ্দ বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।



