শেরপুরে জাল টাকাকাণ্ডে প্রধান ডাকঘরের ট্রেজারার হাফিজুর রহমান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি জালটাকা কবে কার কাছ থেকে পেয়েছেন তার বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে গ্রেফতারকৃত পোস্টাল অফিসার মানিক মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত রিমান্ড শোনানির জন্য ২৩ অক্টোবর দিন ধার্য করে তাকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জালটাকার বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর সদর থানার এসআই নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে শেরপুরে জাল টাকাকাণ্ডে প্রধান ডাকঘরের ওই দুই কর্মকর্তা পোস্টাল অফিসার মানিক মিয়াকে গত ১৬ অক্টোবর ও ট্রেজারার হাফিজুর রহমানকে ১৮ অক্টোবর গ্রেফতার করে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট জানা গেছে, পুলিশ সূত্র জানায়– গত ১৩ অক্টোবর শেরপুর সদর উপজেলার গনইমমিনাকান্দা গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ শাহিনা বেগম ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা শেরপুর পোস্ট অফিস থেকে উত্তোলন করে উত্তরা ব্যাংকে জমা দিতে যান।
উত্তরা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা গুণে নেওয়ার সময় দেখতে পান ওই টাকার মধ্যে ৫৩টি এক হাজার টাকার নোট জাল। অপরদিকে ৯ অক্টোবর দুপুরের পর শেরপুর সোনালী ব্যাংকে নুহূ নামে এক ব্যক্তি সরকারি চালানের ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জমা দিতে গিয়ে সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার ২৫টি এক হাজার টাকার জালনোট পান। ভুক্তভোগী ওই দুই গ্রাহকই শেরপুর পোস্ট অফিস থেকে টাকা একই দিনে উত্তোলন করেছিলেন। তারপর থেকে বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে প্রশাসন, পোস্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ নড়েচড়ে বসে। সরকারের অন্তত তিনটি বিভাগ জালটাকার বিষয়ে তদন্ত করছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।