জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে দেওয়া নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে কাস্টম হাউজ, ভ্যাট কমিশনারেট ও কর অঞ্চলের অনেক কর্মকর্তারা মানছেন না বলে অভিযোগ করেছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, আমাদের কাছে অনেক সময় অভিযোগ আসে যে আমরা নির্দেশ দিই, মাঠ পর্যায়ে তা মানা হয় না। চেয়ারম্যান বলেন, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদেরও দায় আছে। আপনি ব্যবসায়ীরা আছেন, প্রফেশনালরা আছেন, আপনাদেরও দায়িত্ব আছে। আপনি এসব সহ্য করলে কর্মকর্তারা আরও অনিয়ম করবে। তাই সহ্য না করে কমপ্লেইন করা উচিত। তিনি বলেন, এখন অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই অভিযোগ জানানো যায়। কমপ্লেইন করলে ইনকুয়ারি করা হবে এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এনবিআরও হুইসেল ব্লোয়ারদের মাধ্যমে অনেক তথ্য পাচ্ছে। চেয়ারম্যান আরও বলেন, কাস্টম হাউজগুলোতে পণ্যের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ট্রাঞ্জেকশন প্রাইস অনুসরণ করার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও পুরনো রেকর্ড অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে, যা অতিরিক্ত কর আদায়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তিনি বলেছেন, আইন–বিধি মেনে কাজ করলে রেভিনিউ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে। অফিসারদের উচিৎ নিজের স্বার্থ নয়, আইনের প্রতি নিষ্ঠা ও সেবা মনোভাব বজায় রাখা। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এক–দুই দিনের মধ্যে শুল্ক ষ্টেশন থেকে পণ্য ছাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করার সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত এইচএসবিসি ব্যাংকের সিইও মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, কর ফাঁকির সংস্কৃতির কারণে কখনো কখনো মূল্যায়নের অসুবিধা হয়। বৈশ্বিক বাজারে মূল্য ওঠানামা করে, তাই তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা সম্ভব।
তিনি ডাবল ট্যাক্সেশন ও পণ্য–রপ্তানির ক্ষেত্রে কর সংক্রান্ত জটিলতার কথাও তুলে ধরেন। এফআইসিসিআই ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ই–কমার্স খাতে পণ্য বিক্রিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য, কিন্তু একই পণ্য দোকানে বিক্রি হলে মাত্র ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট। ব্যবসায়ীদের মতে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা জরুরি।