ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, রোনালদোর সম্ভাব্য এই ফেরাকে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও বড় ধরনের প্রচারণার সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান বন্দুক সহিংসতা বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। কেবল গত সপ্তাহেই দেশটিতে এক দিনে ৩০০ জনের বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, যাদের বড় অংশ তরুণ ও আফ্রিকান–আমেরিকান সম্প্রদায়ের মানুষ। এ কারণেই আয়োজক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইনফান্তিনো অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র দর্শনার্থীদের জন্য নিরাপদ এবং বর্তমান ধারণা কেবল ‘ভুল বোঝাবুঝি‘।
তবে সমালোচকদের মতে, বিষয়টি অনেকটাই ‘স্পোর্টসওয়াশিং‘-এর মতো। বিশেষ করে দেশটির কঠোর অভিবাসন নীতি ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা এখনো শঙ্কা তৈরি করে রেখেছে। এদিকে রোনালদোর সম্ভাব্য যুক্তরাষ্ট্র সফর বাণিজ্যিক দিক থেকেও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নাইকির সঙ্গে তার আজীবন চুক্তি রয়েছে, পাশাপাশি অসংখ্য অনুমোদন চুক্তি তাকে বৈশ্বিক বাজারে শক্তিশালী করে তুলেছে। দীর্ঘ এক দশক যুক্তরাষ্ট্রে রোনালদোর অনুপস্থিতি তার ব্র্যান্ড ভ্যালুর একটি বড় অংশকে অনাবিষ্কৃত রেখেছে। তাই এবারের প্রত্যাবর্তন সেই শূন্যতা পূরণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।