চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বাবা–মেয়েসহ তিনজনের প্রাণ গেছে। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত হন ভ্যানচালক। সিরাজগঞ্জ সদরে বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার দোকানে ঢুকে পড়লে দোকানি নিহত হন। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় প্রাণ গেছে বাবা–মেয়েসহ তিনজনের। এতে আহত হয়েছে তিনজন। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঠাকুরদিঘী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন– গোলাম সরোয়ার (৪২), তাঁর শিশুকন্যা মুসকান (৩) ও সহকর্মী সাগর (৩০)। গোলাম সরোয়ার ঢাকার তুরাগ থানা এলাকার উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের আক্কাস আলী মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। তিনি রাজধানীতে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের ঠাকুরদিঘী এলাকায় বায়তুস সুলতান জামে মসজিদের সামনে সড়কের পাশে একটি কাভার্ডভ্যান আগে থেকে দাঁড়ানো ছিল। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রামমুখী একটি দ্রুতগতির মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাভার্ডভ্যানের পেছনে ধাক্কা দিলে ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীরা গাড়িতে আটকা পড়েন। খবর পেয়ে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা গাড়ি কেটে মাইক্রোবাস থেকে দুজনের লাশ ও চারজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়।
আহত উম্মে সালমা জানান, ধাক্কা লাগার পর কী হয়েছে, তা তিনি বলতে পারেন না। তবে জ্ঞান ফিরে জানতে পারেন তিনি হাসপাতালে এবং সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর স্বামী ও মেয়ে মারা গেছেন। এ সময় তিনি চিৎকার করে বলছিলেন, ‘আমি বেঁচে থেকে আর কী হবে! আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আল্লাহ আমাকেও নিয়ে যাও।’ চৌধুরীহাট হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক বোরহান উদ্দিন জানান, চালকের চোখে ঘুম থাকার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাগর নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।



