মহেশখালীর গহীন বনে র্যাব, পুলিশ ও নৌ–বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। অপহরণ, ডাকাতি ও অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান প্রতিরোধে ১১ সেপ্টেম্বর সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার র্যাব–১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান। অভিযানে চারটি একনলা বন্দুক, ৩টি দেশীয় তৈরি এলজি, ৩টি ডামি এলজি, ৬রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ৭ পয়েন্ট ৬২ ব্লাঙ্ক এ্যামুনেশন ৩ রাউন্ড, এমজি লাইভ এ্যামুনেশন ৮ রাউন্ড, রাইফেলের এম্যুনেশন ১৩ রাউন্ড ও ৬০–৮০ মিটার বৈদ্যুতিক তার উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, সম্প্রতি মহেশখালীর গহীন জঙ্গলে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও অপহরণ দুটো অপরাধই আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এ সকল অস্ত্রের উৎস মহেশখালীতে বলে জানায়।
এখানকার দুর্গম পাহাড়ের গহীনে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ কারখানায় দিন–রাত তৈরি হচ্ছে প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র, যা ছড়িয়ে পড়ছে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অস্ত্র কারবারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে মহেশখালী নামের এই দ্বীপটি। মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ের গহীনে গড়ে ওঠা অবৈধ অস্ত্রের কারখানার সন্ধান, অস্ত্রের কারিগর ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম রোধ, দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের আতঙ্ক দূরীকরণে ও ডাকাতদলের তৎপরতা নির্মূল করার উদ্দেশ্যে র্যাব–১৫ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে মহেশখালীর দুর্গম গহীন পাহাড়ি এলাকায় র্যাব–১৫ অধিনায়কের নেতৃত্বে র্যাব, নৌ–বাহিনী ও পুলিশের মোট ২৫০ জন সদস্যের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও বৈদ্যুতিক তার উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, অভিযান চালানো এলাকায় পুনরায় অস্ত্রধারীদের নিরাপদ আশ্রয় না হতে পারে সে ব্যাপারে র্যাব বদ্ধপরিকর এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম নির্মূলে নিয়মিত বিরতিতে এ ধরনের সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হবে।