রাউজানে থামছে না ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা। ‘চোরে শুনে না ধর্মের কাহিনী’- এই প্রবাদটি প্রমাণ করতে মরিয়া চোর চক্র একে একে হানা দিচ্ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এই ধারাবাহিকতায় ৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দিবাগত রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে উপজেলার পূর্বগুজরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরগুজরা গ্রামের শ্রী শ্রী অন্নদা ঠাকুর আদ্যাপীঠ রামকৃষ্ণ সংঘ মন্দিরে। এই ঘটনায় ৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে মন্দিরের পূজারি তপন চক্রবর্তী (৬৩) বাদী হয়ে রাউজান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার সময় চোরের দল আদ্যা মায়ের আশ্রমের মন্দিরের জানালার রড বাকা করে মন্দিরের দানবক্স ভাংচুর করে নগদ টাকা–পয়সা, আদ্যা মায়ের প্রতিমার গলায় থাকা ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার/রুপা চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। পুরোহিত তপন চক্রবর্তী জানান, ইতোপূর্বে মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে নি। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মন্দিরের সীমানা প্রাচীরের ভিতরে পুকুর পাড়ে অপ্রত্যাশিত গোলাগুলির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিসিটিভি ক্যামরা সেটআপের হার্ডডিক্স নিয়ে যাওয়ায় চুরির ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজে ধারণ করা সম্ভব হয় নি।
তিনি আশংকা প্রকাশ করছেন চোরের দল মন্দিরে আরও বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে। আমি নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘মন্দির চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷ইতোমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গত ১৮ আগস্ট উত্তর গশ্চি গ্রামের আমিনুর রহমান জামে মসজিদে মুসল্লি সেজে প্রবেশ দানবাক্স এবং ৭ আগস্ট বিকালে পূর্বগুজরা ইউনিয়নের ছৈয়দ আউলিয়া বাড়ি জামে মসজিদে প্রবেশ করে মাইক চালানোর উন্নত প্রযুক্তির মেশিন চুরি করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনা দুটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে। এবং ১৩ জুলাই রাতে উপজেলার পাহাড়তলি ইউনিয়নের উত্তর দেওয়ানপুর ব্রাহ্মণপাড়ার রাখাল ঠাকুর বাড়ির শতবর্ষ পুরনো মন্দিরে ঘটে চুরির ঘটনা। যেখানে বেশ কিছু মূর্তি ও পূজার উপকরণ চুরি হয়।