মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সু চিকে সামরিক হেফাজত থেকে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কিম আরিস। কিম বলেছেন, তিনি (সু চি) আসলে বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তা যাচাই করার উপায় নেই। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে কিম গত শুক্রবার বলেন, তাঁর মায়ের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। এক মাস আগে তাঁকে কার্ডিওলজিস্টের (হৃদপিণ্ডের রোগ বিশেষজ্ঞ) কাছে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু সে অনুরোধ রাখা হয়েছে কি না তাও জানা যায়নি। আরিস বলেন, তাঁর মায়ের হাড় ও দাঁতেরও সমস্যা আছে।
সম্ভবত গত মার্চের ভূমিকম্পের সময় থেকে তিনি এসব জটিলতায় ভুগছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সু চির চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে মিয়ানমারের সরকার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক হেফাজতে আছেন সু চি। এই সামরিক অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা নেন জেনারেল মিন আং হ্লাইং। সু চির বিরুদ্ধে ১৯টি অভিযোগ আনা হয়।
প্রথমে তাঁর ৩৩ বছরের কারাদণ্ড হয়, পরে তা ছয় বছর কমানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর থেকেই সু চির অবস্থান অজানা। গত বছর আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছিল, সু চি রাজধানী নেপিডোর একটি কারাগারে আছেন। তবে গত এক বছর ধরে সু চির সঙ্গে আইনজীবীদের সাক্ষাৎ হয়নি। একই বছর তাঁর ছেলে কিম আরিস গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ওই বছরই (২০২৪) তিনি তাঁর মায়ের কাছে থেকে একটি চিঠি পেয়েছিলেন।