১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে তৃতীয় চালানে একটি ট্রাকে ১৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। এই চালানটি আজ মঙ্গলবার সকালে আমদানিকারক খালাস নেবেন। এর আগে, ২৫ আগস্ট প্রথম চালানে ১৫ টন এবং ২৮ আগস্ট রাতে দ্বিতীয় চালানে ভারতীয় দুটি ট্রাকে ৩০ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এ নিয়ে তিন চালানে মোট ৬০ টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আবারও বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতি টন পেঁয়াজ ৩০৫ ডলারে আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। সেক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে প্রায় ৩৮ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ৫৭–৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর বলেন, ‘এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার আমদানি বন্ধ করেছিল। পরে ভারতও রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিল। এতে নিম্ন আয়ের মানুষকে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছিল। অবশেষে সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়।’ এসব পেঁয়াজের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাগেরহাটের এসএম ওয়েল ট্রেডার্স এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ন্যাশনাল ট্রেডিং করপোরেশন। বন্দর থেকে পেঁয়াজের চালান এজেন্ট করার জন্য কাস্টমস হাউজে কাগজপত্র দাখিল করছে সিঅ্যান্ডএফ লিংক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধকেন্দ্রের উপসহকারী শ্যামল কুমার নাথ জানান, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসএম ওয়েল ট্রেডার্স ৪৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে।
মান পরীক্ষা শেষে পেঁয়াজ খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে দুটি চালানে ৪৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে এবং এসব পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।