টানা বর্ষণ ও ভারতের উজানের পানিতে পরশুরাম ও ফুলগাজীতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের দশ স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বন্যার পানিতে অন্তত ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে, পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনী সূত্র পাঁচ স্থানে ভাঙনের দাবি করছে। ৮ জুলাই রাতে উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনীকুন্ডা, নোয়াপুর, শালধরে তিনস্থানে ও পশ্চিম অলকায় মুহুরী নদীর বাঁধের তিন স্থানের ভেঙে গেছে। এছাড়া মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম গদানগর, জঙ্গলঘোনা, উত্তর মনিপুর দাসপাড়া ও মেলাঘরে সিলোনিয়া নদীর চার স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবন ঘটেছে। এর মধ্য পূর্ব রাঙ্গামাটিয়া, পশ্চিম অলকা, নোয়াপুর, সাতকুচিয়া, পূর্ব অলকা, জঙ্গলঘোনা, পশ্চিম গদানগর, মধ্যম ধনীকুন্ডা, উত্তর ধনীকুন্ডা, নোয়াপুর,উত্তর মনিপুর, মধ্যম মনিপুরসহ আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে। চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, চিথলিয়ার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানান, মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় ১৩১ বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। রান্না ও শুকনো খাবার ছাড়াও বন্যাদুর্গতদের জন্য ৬ লাখ টাকা প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।