দিনের শুরু যখন হলো, তখন উইয়ান মুল্ডার অপরাজিত ২৬৪ রানে। সে অবস্থা থেকে ৩০০ তো বটেই, ৪০০ খুব সম্ভবই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের জন্য। দ্বিতীয় দিনের শুরুর সেশনে যখন ১০৩ রান যোগ করে ফিরলেন দুপুরের খাবার খেতে, তখন মনে হচ্ছিল ৪০০ বুঝি সময়ের ব্যাপার। কিন্তু এরপরই বিস্ময়ের জন্ম দিলেন এই অলরাউন্ডার। ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন! বিষয়টা শুধু মুল্ডার বাদে বাকি প্রায় সবাইকেই বিস্মিত করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক বর্তমান ক্রিকেটাররাও আছেন সে দলে। তার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন ডেল স্টেইন, তাবরেজ শামসি। দিনের খেলা শুরু হচ্ছে যখন, তখনই শামসি আশায় বুক বেধে রেখেছেন। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আগের রাতে লিখেছিলেন, ‘ব্রায়ান লারার ৪০০ রানের রেকর্ডটা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টাটা করো।’
সে কাজটা করার খুব কাছাকাছিই ছিলেন মুল্ডার। তবে তিনি ৩৪ রান দূরে থাকতেই স্বেচ্ছায় থেমে গেলেন। সেটা বিস্ময় জন্ম দিল শামসির মনে। তিনি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম এক্সে লিখলেন, ‘না ম্যান! না না না! এভাবে ইনিংস ঘোষণা কেন করলে?’সে পোস্টের শেষে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন দক্ষীণ আফ্রিকা টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতিও। লিখলেন, ‘অনেকটা সময় বাকি ছিল।
মুল্ডারকে বলা যেত যে আর ৫ ওভার আছে তোমার কাছে, দ্রুত মেরে ৪০০ করো।’ হতাশ হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি টেস্ট উইকেট শিকারী কিংবদন্তি ডেল স্টেইনও। তিনি লিখেছেন, ‘ম্যাচটা তো দক্ষিণ আফ্রিকা এক দিন হাতে রেখেই জিতবে! লাঞ্চের পর কয়েকটা ওভার খেললে কী এমন হতো? ৪০০ তো ওর পাওনাই ছিল!’ মুল্ডারের অমন ইনিংস ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মুনির নানা মত দেখা গেছে। তার মধ্যে একটা ছিল রেকর্ডটা কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার বলেই ভাঙেননি মুল্ডার। দিনের খেলা শেষে মুল্ডার নিজেই জানালেন, লারার রেকর্ডটা তার হাতেই বেশি মানায়। বলেন, ‘ব্রায়ান লারা একজন কিংবদন্তি।
তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০০ বা ৪০১ করেছিলেন। আর তার মতো একজনের কাছে রেকর্ডটা থাকা বিশেষ কিছু।’ রেকর্ডটা লারার কাছেই থাকুক, কোচের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলাপ করেছিলেন মুল্ডার। তিনি বলেন, ‘শুকস (শুকরি কনরাড) এর সঙ্গেও আমি কথা বলেছি, কিংবদন্তিদের কাছেই রেকর্ডটা রাখার ব্যাপারে কথা হয়েছিল আমার। লারার কাছেই রেকর্ডটা থাকা দরকার বলে মনে হয়েছে আমাদের।’