যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প। ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি নিজে অথবা ট্রাম্প পরিবারের অন্য কেউ তার পিতা ডনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে পারেন। এরিক ট্রাম্পের বয়স এখন ৪১ বছর। তিনি ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সহ–নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর পথটা সহজ হবে– যদি আমি তা বেছে নিই। তবে তিনি প্রশ্ন তোলেন, আপনি কি চান আপনার পরিবারের অন্য সদস্যদের সেই পথে টেনে আনতে? আমি চাইবো কি আমার সন্তানরা সেই জীবনযাপন করুক, যেমনটা আমি গত দশ বছরে করেছি? এরিক বলেন, যদি উত্তর হয় হ্যাঁ, তাহলে রাজনৈতিক পথটি আমার জন্য সহজ এবং শুধু আমার জন্যই নয়, আমাদের পরিবারের অন্যরাও তা পারবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। তার ভাই ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও বোন ইভাঙ্কা ট্রাম্প রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হলেও, এরিক মূলত পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন ২০১৭ সাল থেকে। ওই সময় ডনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন। এরিক স্বীকার করেন, তিনি রাজনীতির প্রতি নজর রেখেছেন এবং অনেক রাজনীতিককে দেখে হতাশ হয়েছেন। তিনি বলেন, আমি অনেক রাজনীতিককে দেখে সম্পূর্ণ হতাশ হয়েছি। আমি মনে করি, আমি খুব দক্ষতার সঙ্গে এই কাজটি করতে পারবো। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও রিপাবলিকান পার্টির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আছেন বলে মনে করা হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ট্রাম্প নাম আর দেখা যাবে না? এর উত্তরে এরিক বলেন, আমি জানি না। সময়ই বলবে। তবে আমার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ আছে (এ দৌড়ে)। তার বক্তব্য– প্রশ্ন হলো, আপনি কি সত্যিই এটি করতে চান? আপনি কি আপনার ভালোবাসার মানুষদের এই নিষ্ঠুর ব্যবস্থার সামনে ঠেলে দিতে চান? আমি এখনো এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছি না। এরিক ট্রাম্প দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেন যে, ট্রাম্প পরিবার রাজনীতিকে ব্যবসায়িক লাভের জন্য ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, যদি এমন একটি পরিবার থাকে যারা রাজনীতি থেকে অর্থোপার্জন করেনি, তবে সেটা ট্রাম্প পরিবার। তিনি আরও দাবি করেন, আমার বাবা যদি কখনো নির্বাচন না করতেন, তাহলে আমাদের নামের পাশে আরও অনেক শূন্য যোগ হতো। আমাদের পরিবারের ওপর যা চাপ পড়েছে– আইনি, আর্থিক ও মানসিক তা বিশাল। এরিক জানান, রাশিয়া–সংক্রান্ত ষড়যন্ত্র, ‘ফেক ডসিয়ার’ এবং মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থনে ট্রাম্প পরিবার প্রায় ৫০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মালিকানার বর্তমান মূল্য প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। ট্রাম্প পরিবারের ক্রিপ্টোকারেন্সি হোল্ডিংও প্রায় একই পরিমাণ।
