প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে বাংলাদেশে ফিরে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য সফরের সময় আইটিভি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরকারপ্রধান বলেন, যে কোনো অভিযোগ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে নয়, আইনানুগভাবে আদালতে মোকাবিলা করা উচিত। তিনি বলেন, ‘যদি তার (টিউলিপ) বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তার আদালতে উপস্থিত হওয়া উচিত।’ ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি টিউলিপের সঙ্গে কথা বলিনি। আমি এটিকে একটি আইনি প্রক্রিয়া হিসেবে নিয়েছি এবং এটি আইনিভাবেই হওয়া উচিত। এখানে আমার জড়িত হওয়া উচিত নয়।’ টিউলিপের বিরুদ্ধে তাঁর খালা শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ এনেছে দুদক। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ‘ভুল বোঝাবুঝির’ অবসান করার জন্য তাঁর সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক।
সাক্ষাৎকারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ নিয়ে আলোচনার জন্য শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপের বৈঠকের অনুরোধ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন প্রধান উপদেষ্টা। টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর আইনজীবীরা এটিকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ দাবি করেছেন। ড. ইউনূস সাক্ষাতে সাড়া না দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে টিউলিপ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ড. ইউনূস তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে অনীহা দেখিয়ে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুল তথ্য প্রচারের পথে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ইন্ধন জুগিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে টিউলিপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে শোরগোল হয়েছে। এর মধ্যে টিউলিপ কিংবা তাঁর মায়ের (শেখ রেহানা) বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুটের প্লট নেওয়ার অভিযোগ দুদকে রয়েছে।