গৌরনদীতে নেশার টাকা না পেয়ে পালক ছেলে মেহেদী হাসান (২৫) হামলা চালিয়ে পালক বাবার ঘরের আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। সোমবার রাতে উপজেলার বড় কসবা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মাদকাসক্ত ছেলে তার পালক পিতা–মাতাকে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতা ও হামলার আশঙ্কায় ভয়ে ও আতঙ্কে নিজ বাড়ি ছেড়ে পালক পিতা–মাতা শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের স্বজনরা জানান, ওই গ্রামের বাসিন্দা উপজেলার উত্তর রামসিদ্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন হাওলাদারের দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে স্ত্রীর গর্ভে কোনো সন্তান না হওয়ায় নিজ শ্বশুরের সহায়তায় গত ২২ বছর আগে রাজধানী ঢাকা থেকে তিন বছর বয়সি মেহেদী হাসানকে দত্তক আনেন। এরপর তারা তাকে পিতা–মাতার স্নেহে লালন পালন ও লেখাপড়া করান। এসএসসি পাশের পর কলেজে ভর্তি হয়ে মেহেদী মাদকাসক্ত বন্ধুদের সঙ্গে মিশে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। গত বছর পালক পিতা–মাতা তাকে রিহ্যাবে পাঠিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ করে আনেন। এলাকায় ফিরে সে পুনরায় মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার টাকার জন্য সে তার পালক পিতা–মাতার ওপর অত্যাচার, নির্যাতন শুরু করে। পালক পিতা আব্দুল মতিন হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, নেশার টাকার জন্য মেহেদী আমার পেনশনের টাকা জোরপূর্বক ব্যাংক থেকে তুলে নেয়। আরও টাকার জন্য সে সোমবার রাত ৯টার দিকে আমার ঘরের আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করে আমাকে এবং ওর মাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ভয়ে আমরা বাড়িঘর তালা দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। তিনি বলেন, মাদকাসক্ত পালক ছেলের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে গত ৪ এপ্রিল আমি বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে গৌরনদী থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।