সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথমে লিড নেওয়ার পর এমন পরিস্থিতির মুখে পড়ার কথা হয়তো ভাবতেই পারেনি বার্সালোনা।দ্বাদশ মিনিটে সমর্থকদের উল্লাসে ভাসিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ফেরান তোরেস। এরপর বোরয়া ইগলেসিয়াসের হ্যাটট্রিকে সমতা ফিরিয়ে দুই গোলে এগিয়েও যায় সেল্তা ভিগো। তবে রাফিনিয়ার জোড়া গোলের সঙ্গে দানি ওলমোর লক্ষ্যভেদে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা। সেখান থেকে সমতায় সন্তুষ্ট থাকতে হবে এমনই মনে হচ্ছিল। তবে শেষ বাঁশির আগে পেনাল্টি থেকে গোল করে ৪–৩ গোলের জয় তুলে নিয়েছে হানসি ফ্লিকের দল। এই লা লিগার কর্তৃত্ব শক্ত হাতেই ধরে রেখেছেন রাফিনিয়া–ইয়ামালরা । এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে শিরোপা জয়ের পথে নিজেদের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিয়েছে বার্সা। ৩২ ম্যাচে শীর্ষে থাকা দলটির সংগ্রহ ৭৩। দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান এখন সাতের।
শনিবার ঘরের মাঠে ৩২তম রাউন্ডের লিগ ম্যাচে তরুণ লামিনে ইয়ামালকে বিশ্রাম দিয়ে খেলতে নামে বার্সা। তার বদলি নামা ফেরান তোরেস ১২ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন। কিন্তু পরেই ওই লিড হারায় কাতালানরা। মিনিট তিনেক পরেই ১–১ গোলের সমতাফেরান সেল্টার ৩২ বছর বয়সী স্প্যানিশ স্ট্রাইকার বোর্জা ইগনিসিয়াস। বার্সা গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি শিশুতোষ ভুল করে বসেন। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি পরপর দুই গোল করে সেল্টাকে ৩–১ গোলের লিড এনে দেন। ইগনিসিয়াস ৫২ ও ৬২ মিনিটে করা গোলে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।এরপরই বার্সার প্রত্যাবর্তনের শুরু। ৬৪ মিনিটে দানি ওলমো ও ৬৮ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের ক্রস থেকে হেড করে ম্যাচে সমতা ফেরান রাফিনহা। ম্যাচটা তার পর ড্রয়ের দিকেই এগুতে থাকে। যোগ হওয়া সময়ে ভাগ্য বদলায় রাফিনহার স্পট কিক। কোচ হান্সি ফ্লিক এতই উচ্ছ্বসিত ছিলেন যে, শেষ বাঁশি বাজার পর রাফিনহাকে জড়িয়ে ধরেন তিনি।