রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুখঃনিসৃত অমীয় বাণী,,,,,,,
“ হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!
ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল,
তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল
কারে দাও ডাক
হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ! ”
কবিগুরুর বাণী থেকে বাংলা বর্ষের প্রথম দিনের আগমনের বার্তা অনুমেয়।
বাঙ্গালিরা জন্মগতভাবেই উৎসব প্রিয় জাতি। তাই বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ পালনেও নেই কোন কার্পণ্য। পৃথিবীর যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ পালন করে। একসময়ের ‘পুণ্যাহ’ অনুষ্ঠান এখন হালখাতা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, কবিগান, কীর্তন, যাত্রা, বৈশাখী মেলা, নাটক আবৃত্তি–নাচ–গানে মুখরিত সারাদেশ। কোনো এলাকায় নৌকাবাইচ, হাডুডু, ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই ইত্যাদি খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এবার(১৪৩২) নববর্ষে ৫০ টি ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠী জাতির মধ্যে ২৮ টি উপজাতি উতসাহ–উদ্দীপণায় এই উৎসব পালন করে।
মূলত কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য, ১৫৫৬ সনে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন চালু করেন। এ দিনটা যেমন আনন্দ উল্লাসের জন্য তেমনি পরস্পর কুশল বিনিময় ও কল্যাণ কামনার জন্য। আমরা একে অন্যকে বলি, ‘‘শুভ নববর্ষ”। ইদানিং, এ দিনে শহরাঞ্চলে পান্তা–ইলিশ খাওয়ার চল হয়েছে । এই রেওয়াজের ধারাবাহিকতায়,
আমরা ইউ এন্ড মি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা,শিক্ষক, অভিভাবক, ছাত্র–ছাত্রীরা একসাথে পান্তা ভাত,মাছ ভাজা, পিয়াজ,কঁাচা মরিচ খেলাম। যা আমাদের মাছে ভাতে বাঙ্গালির তকমাকেই প্রমাণিত করে।
নতুন অথবা সুন্দর জামাকাপড় পরে সব বয়সের মানুষ বাংলা নববর্ষে আনন্দে মেতে ওঠে। ধর্মীয় উথৎসবের বাইরে চিন্তা করলে বাংলা নববর্ষই আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব।
পরিশেষে বলতে চাই,
বাঙালি, বাংলা, বৈশাখ নিয়েই বাংলাদেশ। তাই আবহমানকালের এই সংস্কৃতিকে ধারণ করা প্রত্যেক বাঙালির কর্তব্য।
শামীম হোসেন
সহকারী শিক্ষক
ইউ এন্ড মি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।