সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় প্রকল্পের কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হলেও অদ্যাবধি কাজ শুরু হয়নি বুড়িগোয়ালিনীর উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধের পাঁচটি পয়েন্টের। কাজের অগ্রগতি না থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারের গাফিলতিতে এ অবস’া– দাবি স’ানীয়দের। আড়াই বছর অতিক্রান্ত হলেও শুধুমাত্র বালুভর্তি জিওব্যাগ প্লেসিং করেই উধাও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ের উক্ত প্রকল্পের আওতাধীন এলাকার মানুষের মধ্যে আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে ঘিরে তৈরি হয়েছে চরম দুশ্চিন্তা। বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গত বুধবার মানববন্ধন করলে নড়েচড়ে বসেন কর্তৃপক্ষ।
পাউবো কর্তৃপক্ষসহ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সরজমিন ভাঙনকবলিত অংশগুলো পরিদর্শন করেছেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুন।
এদিকে, কাজের ধীরগতির কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাৎক্ষণিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেন ইউএনও রনী খাতুন। উক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার পাশাপাশি আসন্ন বর্ষা মৌসুমের মধ্যে সিংহভাগ কাজ সম্পন্নের নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া যেকোনো প্রকারে লোকালয়ে পানির প্রবেশ ঠেকানোর ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণেরও পরামর্শ দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, কাজে গতিহীনতার কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া কাজের গতি বৃদ্ধি করে বর্ষা মৌসুমের মধ্যে ভাঙনকবলিত অংশসমূহকে সুরক্ষিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাইকার অর্থায়নে ২০২২ সালে প্রায় ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্যামনগরের ৫ নম্বর পোল্ডারের পাঁচটি পয়েন্টে কাজ শুরু হয়। দুই বছর মেয়াদি উক্ত প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ ২০২৫ সালে এসেও কাজের মাত্র ২০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে দাবি স’ানীয়দের। বাকি ৮০ শতাংশ কাজ না করে ঠিকাদার পালিয়ে যায়।