সড়কপথে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পণ্য আমদানি–রপ্তানির বাণিজ্যদ্বার বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দর পূর্ণাঙ্গভাবে অচিরেই চালু হচ্ছে। তবে শেওলা স্থলবন্দরটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার আগেই একটি চক্র সরকারের অধিগ্রহণকৃত এবং সরকারি বিপুল পরিমাণ জমি অবৈধভাবে দখলে নিচ্ছে। তারা কৌশলে গড়ে তুলছে অবৈধ স্থাপনা। সরজমিন দেখা যায়, বন্দরের প্রবেশ গেটের সামনেও অস্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বিস্তৃত বন্দর এলাকার আশপাশে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক মার্কেট স্থাপন করা হয়েছে। দৈনিক ভিত্তিতে এসব দোকান থেকে ভাড়া আদায় করা হয়। কেউ আবার বন্দরের খালি জায়গা দখল করে তা কয়লা–পাথর ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিচ্ছেন। এসব সরকারি জমির ভাড়া বাবদ অগ্রিম পুরো মৌসুমের টাকা আদায় করে নিচ্ছেন। শেওলা স্থলবন্দর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত। এটি বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রাম সীমান্তে অবস্থিত। ২০১৫ সালের ৩০শে জুন শেওলা শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়। ২০২৩ সালের ৭ই জুন বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে কর্তৃপক্ষ। শেওলা স্থলবন্দর কাস্টম্স স্টেশনে কুশিয়ারা নদীপথের মাধ্যমে ১৯৪৮ সাল থেকে আমদানি–রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২ দশমিক ১০ একর ভূমিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তবে বন্দরের প্রায় ২ একর জমি অবৈধ দখরদাররা নিজেদের করায়ত্বে নিয়ে গেছে। বন্দরে কর্মরত শ্রমিক শাহীন জানান, রাতে ঘুমানোর সময় যে জায়গা খালি দেখা যায়, সকালে ওঠার পর সেখানে স্থাপনা তৈরি হয়ে যায়। এ অবস্থা চলতে থাকলে বন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় জমিও আর অবশিষ্ট থাকবে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দরে কর্মরত দায়িত্বশীলরা জমি দখল ঠেকাতে আগ্রহী নন। তারা এসব বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কিছুই অবগত করে না। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেওলা স্থলবন্দরের সহকারী কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা কাজী মো. মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আমরা অবহেলা করছি– বিষয়টি ঠিক নয়। ইতিমধ্যে কয়েকটি জায়গা দেয়াল ও কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করেছি। সব জায়গা তো একেবারে সংরক্ষণ করা যায় না।
