নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত তিন শিবিরকর্মীর মরদেহ ১১ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
প্রথমে সকালে চরহাজারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে শিবিরকর্মী আবদুল আজিজ রায়হান, দুপুরে রামপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভী নুরুল ইসলামের ছেলে শিবিরকর্মী সাইফুল ও বিকেলে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল কাশেমের ছেলে শিবিরকর্মী সাইফুল ইসলামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম, হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এসআই মঈনুল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর পৌরসভা আমির মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন ও নিহতদের স্বজনেরা। এর আগে ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশের প্রতিবাদে বসুরহাটে মিছিল চলাকালে ৪ জন জামায়াত–শিবিরকর্মী গুলিতে নিহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য আদালত ওই ৪জনের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর দুপুরে নিহত শিবিরকর্মী সজিবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
প্রসঙ্গত: ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় জামায়াত–শিবিরের ৪ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াতকর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালিন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করে।