টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সৈয়দামপুর গ্রামে বংশাই নদীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দিনব্যাপী ডুবের মেলা। গ্রাম–বাংলার ঐতিহ্যবাহী ডুবের মেলা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। মাঘী পূর্ণিমায় এ মেলা হয়; যা ‘ডুবের মেলা’ নামে পরিচিত। স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এ মেলায় নদীতে পুণ্যস্নান করলে পাপমোচন হয়।
মেলায় জেলার দূর–দূরান্ত থেকে আগত জনগণ পূজা ও স্নান পর্বে অংশগ্রহণ করে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে স্নান উৎসব। স্নান উৎসবে অংশ নেন নারী–পুরুষ ও কিশোর–কিশোরী। তারা জমির আইল ধরে ডুবের মেলায় আসেন। পুণ্যার্থীরা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের পাপ মোচন উপলক্ষে ভোরে মানত ও গঙ্গাস্নান পর্ব সমাপন করেন। গঙ্গাস্নান করলে সারাবছরের পাপ মোচন হয়। মনের আশা ও বাসনা পূরণ হয়। এ স্নানে অংশ নিলে পুণ্য মেলে। এ মেলা ব্রিটিশ আমলে বক্ত সাধু নামে খ্যাত সন্যাসীর (মাদব ঠাকুর) মূর্তি প্রতিস্থাপন করে পূজা–অর্চনা শুরু হয়। এ পূজা উপলক্ষে তখন থেকে গঙ্গাস্নান ও মেলা হয়ে আসছে। তখন থেকে এটা ‘ডুবের মেলা’ নামে পরিচিত। ডুবের মেলায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্নান উৎসব চলে।
স্নানে অংশ নেওয়া শান্তি রায় বলেন, ‘আমি টাঙ্গাইল শহর থেকে আজকে মাঘী পূর্ণিমার মেলায় আসছি। এখানে আমি ১০–১২ বছর ধরে আসি। এখানে এসে স্নান করি, অনেক ভালো লাগে। আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি পুণ্যস্থান।’ আরতি রায় নামে একজন জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন যে, মাঘী পূর্ণিমার তিথিতে উত্তরবাহিত জলে স্নান করলে সারাবছরের পাপ মোচন হয়।