মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে একটি বৈঠক করার পরিকল্পনা করছেন, সম্ভাব্য স্থান হিসেবে ওয়াশিংটন। ‘আমি সম্ভবত আগামী সপ্তাহে … জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করব, এবং আমি সম্ভবত (রাশিয়ার) প্রেসিডেন্ট (ভ্লদিমির) পুতিনের সাথে কথা বলব,’ হোয়াইট হাউসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সাথে আলোচনার আগে মার্কিন নেতা বলেছিলেন, ‘তিনি (জেলেনস্কি) আগামী সপ্তাহে (আমার সাথে) দেখা করতে পারেন, তিনি যাই হোক না কেন, আমি এখানে আছি।’মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার নিজ দেশে আলোচনা করার ব্যাপারে পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হচ্ছে, তিনি বলেছেন যে, তারা ‘ওয়াশিংটনে আসতে পারেন,’ যোগ করেছেন, ‘আমি সেখানে (ইউক্রেনে) যাচ্ছি না।’ ট্রাম্প কখন পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, ইউক্রেনীয় সংকট শুরু হওয়ার সময় তিনি যদি প্রেসিডেন্ট থাকতেন তবে কখনও তা ঘটত না। পূর্বে, ট্রাম্প বলেছিলেন যে, আশা করা যায় ‘অতিদূর ভবিষ্যতের কোনও এক সময়ে’ একটি শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হবে।
১৪ জুন, ২০২৪ তারিখে, পুতিন রাশিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বের সাথে এক বৈঠকে ইউক্রেনে একটি মীমাংসার শর্তাবলী তুলে ধরেন। এই শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে ডনবাস এবং নভোরোসিয়া থেকে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী প্রত্যাহার এবং ন্যাটোতে যোগদান না করার কিয়েভের অঙ্গীকার। ইউক্রেনে রুশ–ভাষী নাগরিকদের অধিকার, স্বাধীনতা এবং স্বার্থও সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত থাকতে হবে। রাশিয়া মনে করে যে, তার বিরুদ্ধে সমস্ত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া এবং ইউক্রেনের জোটনিরপেক্ষ এবং পারমাণবিক–মুক্ত মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। কিয়েভের নামমাত্র অংশগ্রহণে এবং ইউরোপ ছাড়াই রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইউক্রেনীয় মীমাংসার আলোচনা পরিচালনা করা উচিত, এই মতামত পশ্চিমা গণমাধ্যমে প্রচারিত হতে শুরু করেছে।