হঠাৎ বাঁশঝাড়ের মাথায় চড়ে বসেন এক গৃহবধূ। পরে বহু চেষ্টা করেও তাকে নামাতে পারেনি এলাকাবাসী ও স্বজনরা। সবশেষ জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল দিয়ে ফায়ার সার্ভিস ডেকে এনে তাকে নিচে নামানো হয়। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঠিক এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত শুক্রবার ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বিলডোরা ইউনিয়নের বিলডোরা মোজাকান্দা মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে গ্রামবাসী বলছে, ওই নারীকে জ্বীন অথবা ভূতে ধরেছে– তা না হলে প্রায় ৪৫ ফুট উঁচু বাঁশঝাড়ের মাথায় উঠা ওই নারীর পক্ষে সম্ভব নয়। এখন স্থানীয় কবিরাজের দ্বারস্থ হয়েছে তার পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে ওই গৃহবধূকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার পরিবারের সদস্যরা অনেকক্ষণ পর বাঁশঝাড়ের মাথায় দেখতে পান। তারা অনেক চেষ্টা করেও গৃহবধূকে নামাতে ব্যর্থ হন। পরে প্রতিবেশী খলিলউল্লাহ চৌধুরী সোহাগ ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯– এ ফোন করে বিষয়টি অবগত করেন। হালুয়াঘাট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ওই নারীকে বাঁশঝাড় থেকে নিরাপদে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। মোজাকান্দা মসজিদের ইমাম ওয়ালিউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আমি যখন শুনেছি এই নারী বাঁশঝাড়ের ওপরে তখন আমরা বাঁশঝাড়ের গোড়ায় দাঁড়িয়ে কয়েকবার আযান দেই, তার পরেও নামানো সম্ভব হয় নাই। পরে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রশি দিয়ে বেঁধে নিচে নামায় তাকে।’
ওই নারীর শ্বশুর ইন্নছ আলী বলেন, ‘আমার ছেলেটার সহজ–সরল বউয়ের কি হয়েছে বলতে পারছি না। ঘটনার পর আমরা কবিরাজে কাছে গিয়েছি।’ হালুয়াঘাট ফায়ার সার্ভিসের ফাইটার মোশারফ হোসেন বলেন, একটি বাঁশঝাড়ের আনুমানিক ৪৫ থেকে ৫০ ফিট উঁচুতে ওই নারী উঠে দুইটি বাঁশ ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাঁশঝাড় বাতাসে দুলছে এবং যে কোন সময় ওই নারী পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। পরে কৌশলে বাঁশে দড়ি বেঁধে তাকে নিচে নামানো হয়। হালুয়াঘাট থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, ৯৯৯ কল পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ওই নারীকে নিরাপদে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রাণেশ চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, ওই নারীকে মানসিক ডাক্তার দেখানো উচিত। তাহলেই সুস্থ হয়ে যাবেন তিনি।
