মান্দা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, এক্সকাভেটর ও শ্রমিক দিয়ে আবাদি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এভাবে জমির মাটি কাটার ফলে আবাদি জমির উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে মাটির জৈব গুণাগুণ। নিচু হয়ে যাচ্ছে কৃষিজমি। ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ।
সরেজমিনে এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার বিভিন্ন মাটিকাটা পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে অভাবী জমির মালিকদের অর্থের লোভে ফেলে কেটে নিচ্ছেন আবাদি জমির মাটি। অবাধে মাটি কাটার ফলে এসব আবাদি জমি নিচু হচ্ছে। মান্দা উপজেলা সচেতন মহলের দাবী, এভাবে জমির মাটি কাটা অব্যাহত থাকলে একসময় কৃষিতে বিপর্যয় দেখা দেবে। কমে যাবে আবাদি জমির পরিমাণ। জমি থেকে কেটে নেওয়া মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকার জায়গা, সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। মান্দা উপজেলার কৃষক ফারুক হোসেন, আবজাল আলী, কেরামত মণ্ডল ও কামাল হোসেন বলেন, কৃষিজমির টপ সয়েল বা উপরিভাগের মাটি কাঁটা নিষিদ্ধ। পরিবেশের কথা চিন্তা করে হলেও প্রশাসনের উচিত এই মাতি খেকোদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়া। এ কাজের সঙ্গে জড়িত জমি ও ইটভাটার মালিক দুই পক্ষই দোষী।
মান্দা উপজেলার সহকারী কৃষি অফিসার শিমা খন্দকার বলেন, মান্দা উপজেলায় মোট ৩৮ টি ইটভাটা রয়েছে, যদি এই সব ভাটায় ফসলী জমির মাটি কেটে নিয়ে যায় হয় তাহলে ফসলী জমি কমে যাবে। এতে ফসলের ঘাটতি দেখা দেবে। মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, ফসলী জমির মাটি কাটার জন্য এ পর্যন্ত মোট ৯ টি অভিযান পরিচালনা করে ৬ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এবং মাটি কাটা অভিয়ান অবহিত আছে। মাটি কাটার সংবাদ কেউ জানালে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেখানে লোক পাঠানো হয়।