অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সাধারণ মানুষ জ্বালায় আছে এক হাজার টাকা নিয়ে বাজারে গেলে অল্প কিছু বাজার করা যায়। আমিও সেটা টের পাই, আপনারা সবাই টের পান।
আমিও তো বাজারে যাই, আমারও দুঃখ লাগে। সাধারণ মানুষের জ্বালা আছে, তারা সেটা বিভিন্নভাবে প্রকাশ করেন জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা মানুষকে ধৈর্য ধরতে বলি। কিন্তু সাধারণ মানুষের পক্ষে ধৈর্য ধরা কঠিন। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি আমাদের পীড়া দেয়। আর একটা সমস্যা জ্বালানির দাম। আপনারা নিজেরাই জানেন, আদানির একটা দাবি ছিলো ৭০০ মিলিয়নের। আদানিকে ২০০ মিলিয়ন দেওয়া হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের পাওনা বকেয়া ছিল, ওরা বলে সার দেওয়া বন্ধ করে দেব। বকেয়া পরিশোধ করার পর এখন সার দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রায় ২.৫ বিলিয়ন ডলার ছিল বকেয়া পাওনা। এটাকে কমিয়ে এনেছি। এখন ৪০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পাওনা আছে। এক টাকাও রিজার্ভ থেকে খরচ করা হয়নি। আগে রিজার্ভ ছিল ৪২ বিলিয়ন ডলার, হুট করে ১২ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। আর্টিফিশিয়ালি রিজার্ভ দেখানোর চেষ্টা করা হয়। এগুলো অকল্পনীয় বিষয়।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতি একদিনে হয়নি। মূল্যস্ফীতি কমপ্লেক্স ফ্যাক্টর (জটিল বিষয়)। আগে ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছেন। তারপর পাবলিক সেক্টরে বড় বড় প্রজেক্টে খরচ করেছেন, ওটার আউটপুট তো আসে না। পদ্মা ব্রিজের যাত্রা শুরু হয়েছে, এটার সুফল দক্ষিণবঙ্গ পাবে পাঁচ বছর পরে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।