অধিকাংশ সময় বলের দখল রেখে আক্রমণ শানিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। কিন্তু মিলছিল না কাঙ্খিত জালের দেখা। অবশেষে লাওতারো মার্তিনেসের একমাত্র গোলে কষ্টের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেই গোলে সহায়তা করে আরেকটি রেকর্ড গড়লেন লিওনেল মেসি। বুয়েন্স আইরিসের লা বম্বোনেরায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে সফরকারী পেরুকে ১–০ গোলে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে লিওনেল মেসির বাড়ানো বলে গোলটি করেন মার্তিনেস। আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির এটি ৫৮তম অ্যাসিস্ট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সমান সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের রেকর্ড এতদিন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের লেন্ডন ডনোভানের দখলে।
আর্জেন্টিনার হয়ে মার্তিনেসের ৩২তম গোল এটি। গোল সংখ্যায় তিন স্পর্শ করলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনাকে।আগের ম্যাচে প্যারাগুয়ের কাছে ২–১ গোলে হারা আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই চাপ ধরে রাখে চিলির রক্ষণে। তবে শেষটা ভালো হচ্ছিল না তাদের। ২২তম মিনিটে এনসো ফের্নান্দেসের শট পোস্টে বাধা পায়। খানিক পর অ্যালিক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গোল না পাওয়ার হতাশা নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে লিওনেল স্কালোনির দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে জালের দেখা পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে বল নিয়ে বাম প্রান্ত দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে গোলমুখে দারুণ উঁচু ক্রস বাড়ান মেসি। দর্শণীয় ভলিতে গ্যালরিতে উল্লাসের উপলক্ষ্য এনে দেন মার্তিনেস। বাকি সময়ে চেষ্টা চালিয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনা। বিপরীতে পুরো সময়ে স্রেফ ২৬ শতাংশ বলের দখল রেখে নেওয়া দুটি শটের একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি পেরু। ১২ ম্যাচে আর্জেন্টিনার এটি অষ্টম জয়। সাথে ১ ড্রয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছেন মেসিরা।
একই সময়ে অনুষ্ঠিত দিনের অন্য ম্যাচে স্বাগতিক ভেনেজুয়েলাকে ৪–২ গোলে হারায় চিলি। ১২ ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। তারা আছে দশ দলের তালিকায় নয়ে। আরেক ম্যাচে দারুণ ছন্দে থাকা স্বাগতিক কলম্বিয়াকে একজন কম নিয়েও ১–০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে একুয়েদর। ১২ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা তালিকার তিনে উঠে এসেছে। আর প্যারাগুয়ে–বলিভিয়া ম্যাচটি ২–২ ড্র হয়। তারা আছে যথাক্রমে ছয় ও সাতে। চলতি বছর আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচ এটি। তাদের পরের ম্যাচ আগমী বছরের মার্চে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেই ম্যাচে লা আলবেসিলেস্তেদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী উরুগুয়ে।