বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। হঠাৎ বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় বিপদে পড়েছেন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা ট্রলারের জেলেরা। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পটুয়াখালীর মহিপুর–আলিপুর মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার মাছ ধরা ট্রলারের জেলেরা।
মহিপুর–আলীপুর ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নোঙর করে রাখা হয়েছে কয়েক হাজার মাছে ধরার ট্রলার। উত্তাল সমুদ্রে ঢেউয়ের কবল থেকে জান ও মাল রক্ষার তাগিদে এসব ট্রলার নিয়ে জেলেরা তীরে ফিরে এসেছেন। তবে অধিকাংশ ট্রলারই ঘাটে ফিরেছে শূন্য হাতে।
এফবি এলমা–২ ট্রলারের জেলে মহিউদ্দিন জানান, কয়েকদিন আগে প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে তাদের ট্রলার সাগরে গিয়েছিল। সমুদ্র উত্তাল থাকায় চলে আসতে হয়েছে। মাছ ধরতে পারিনি। এবারের ট্রিপে তেলখরচও উঠবে না। তাদের ট্রলারে ২০ জন স্টাফ রয়েছে। সবাই এখন বেকার বসে দিন কাটাচ্ছে।
আলীপুর মৎস্য বন্দরের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন কাজী বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফিরতে হতো না। বর্তমানে সমুদ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নেই। তাই সমুদ্র থেকে সবাই ঘাটে ফিরে আসছে। প্রতিটা ট্রলারে তিন থেকে চার লাখ টাকার বাজার করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই অনুযায়ী কোনো মাছের দেখা মিলেনি।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র থেকে জেলেদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। ফলে ট্রলারের মালিক ও জেলেদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। আশা করি– আবহাওয়া খুব শিগগিরই ভালো হয়ে যাবে। তখন জেলেরা স্বাভাবিকভাবে মাছ শিকার করতে পারবেন।
কলাপাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এন্ড পিবিও আব্দুল জব্বার শরীফ জানান, সমুদ্র বন্দরসমূহে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় জেলেদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।