রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে মঙ্গলবার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সকালে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের ছাত্রদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আর দুপুর থেকে মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর সড়ক যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে। এছাড়া মেট্রোরেলের উন্নয়নের কারণে কুড়িল প্রগতি সরণি সড়কেও তীব্র যানজট ছিল। সড়কে ভয়ানবহ যানজট মাড়িয়ে রাজধানীতে চলাচলে নগরবাসীর নাভিশ্বাস উঠেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বিকাল ৩টার দিকে মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে বিমানবন্দরমুখী সড়কে সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। কিছুক্ষণ পরপর পিঁপড়ার গতিতে চলাচল করেছে। এতে ১০ মিনিটের দূরত্ব পাড়ি দিতে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা লেগেছে। যানজটের পাশাপাশি তীব্র গরম হওয়ায় নাকাল হয়ে যায় কর্মব্যস্ত মানুষের জীবন।
কুড়িল চৌরাস্তায় ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে বাসে চড়ে নিকুঞ্জে পৌঁছতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগে। আজ (মঙ্গলবার) সেখানে ১ ঘণ্টার বেশি লেগেছে। থেমে থেমে গাড়ি পিঁপড়ার গতিতে চলেছে। যানজট ও গরমে নিকুঞ্জে পৌঁছতে ভয়াবহ ধকল সইতে হয়েছে।
সরেজমিন আরও দেখা গেছে– মহাখালী–বনানী সড়কের যানজটের প্রভাব পড়ে গুলশান ও বারিধারা এলাকায়ও। আর কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকা থেকে বসুন্ধরা গেট, নর্দ্দা, নতুনবাজার, বাড্ডা ও রামপুরা সড়কেও গাড়ি চলেছে খুবই ধীরগতিতে। গন্তব্যে পৌঁছতে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ সময় লেগেছে।
বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা হামিদুজ্জামান বলেন, আগারগাঁও থেকে কুড়িলের অফিসে আসতে তার ভয়ানক ধকল সইতে হয়েছে। মহাখালী, বনানী ও কুড়িলের সড়কে তীব্র যানজটের ধকল মাড়িয়ে অফিসে পৌঁছেন তিনি। তীব্র যানজট ও গরমে রীতিমতো নাকাল হয়ে পড়েন বলে জানান তিনি।
তীব্র যানজট ছিল নগরীর অন্যান্য এলাকায়ও। ভুক্তভোগীরা জানান– মহানগরীর গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান, আজিমপুর, পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন, মগবাজার, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট ও তেজগাঁও এলাকায়ও তীব্র যানজট দেখা গেছে।