পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাজার হাজার মানুষ। বন্যার কারণে গত দুইদিন (বুধবার, বৃহস্পতিবার) ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
জানা গেছে, উপজেলার ২৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক হাজার দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার বহুতল ভবনে আশ্রয় নিয়েছে শত শত মানুষ। বন্যা কবলিত মানুষকে উদ্ধারের জন্য শুক্রবার দুপুর থেকে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। উপজেলার ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
চৌদ্দগ্রামের ইউএনও রহমত উল্লা জানান, টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় উপজেলার পৌরসভা এলাকাসহ আলকরা, গুনবতি, জগন্নাথ, চিওড়া, কনকাপৈত, বাতিসা, মুন্সিরহাট, শুভপুর, শ্রীপুর ও কাশিনগর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষকে উদ্ধারের জন্য শুক্রবার দুপুর থেকে সেনাবাহিনী নৌকা ও স্পিডবোট দিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করছেন।
দি সাপ্তাহিক আলোর ফোয়ারা