বছর দুয়েক আগে শখের বসে তিনটি দুম্বা কিনে লালন–পালন শুরু করেন এস এম নাসিম উদ্দিন। খুলনার রূপসা উপজেলার যুগিহাটি গ্রামে ‘গাংচিল এগ্রো ফার্ম’ নামে তাঁর একটি খামার রয়েছে। দুম্বাগুলো সেখানেই বেড়ে উঠছে। মরুভূমির প্রাণী এ দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। তিনটি থেকে নাসিমের খামারে এখন ৬টি দুম্বা। বাচ্চা তৈরি করে নিজে বড় খামার করার পাশাপাশি অন্যদেরও উৎসাহিত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
নাসিম উদ্দিন জানান, শখের বশে ঢাকা থেকে তিনটি দুম্বা কিনেছিলেন। এর মধ্যে একটি পুরুষ ও দুটি স্ত্রী প্রজাতির। সেগুলো বাচ্চা প্রসব করেছে। এখন খামারে দুম্বা রয়েছে ৬টি। এগুলো দেখাশোনার জন্য কর্মচারী আছে।
খামারের ব্যবস্থাপক শামীম হোসেন জানান, দুম্বা মূলত মরুভূমির দেশ সৌদি আরবে লালন–পালন করা হয়। পাঁঠা (পুরুষ প্রজাতির) দুম্বাটি আড়াই লাখ টাকা দিয়ে কিনে আনা হয়। মায়া (স্ত্রী প্রজাতির) দুম্বা দুটি কেনা হয়েছিল ৩ লাখ টাকায়। এখানকার আবহাওয়ায় প্রাণীগুলোর কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তারা খাপ খাইয়ে নিয়েছে। সুস্থ আছে, বাচ্চাও বড় হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, শীতকালে মাঝেমধ্যে দুম্বার ঠান্ডা লাগে এবং জ্বর হয়। তখন জ্বরের ওষুধ দিতে হয়। এ ছাড়া সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়। দিনে দু’বার– সকাল ৮টায় এবং বিকেল ৫টায় খাবার দেওয়া হয়। দুম্বা ঘাস, লতাপাতা, সবজি, ধানের কুড়া, দানাদার খাবার, গম ও ভুট্টার ভুসি খায়।
শামীম হোসেন বলেন, এখনও কোনো দুম্বা বিক্রি করা হয়নি। বিক্রি করার মতো পরিস্থিতি হয়নি। দুম্বার সংখ্যা আরও বাড়ানোর পর আস্তে আস্তে বিক্রি করা হবে। আপাতত পরিকল্পনা সংখ্যা বাড়ানোর। পরবর্তী সময়ে বিক্রি করব। যারা আগ্রহী তারা কিনে নিয়ে লালন–পালন করবে। ভবিষ্যতে কোরবানির সময় বিক্রি করব। খুলনায় সম্ভবত আর কোথাও দুম্বার খামার নেই। প্রতিদিন বিকেলে অনেক লোক দুম্বা দেখতে আসে।