স্কুলের মাঠ ও যাতায়াতের রাস্তা নিচু হওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে স্কুলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের ওচমানপুর ইউনিয়নের ১৭২নং ওচমানপুর হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিভিন্ন শ্রেণি কক্ষের ছাদে ফাটল ও পানি ছুঁইয়ে পড়ায় শিক্ষক, অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওচমানপুর হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারপাশে থৈ থৈ করছে পানি। বিদ্যালয়ের মাঠ ও রাস্তা নিচু হওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় মাঠটির বেশিরভাগ অংশই জলমগ্ন হয়ে আছে। পানিতে বেড়ে উঠছে আগাছা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে মাঠে নামতে পারছে না। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের শরীরচর্চা ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন অনুষ্ঠান ব্যাহত হচ্ছে।
৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিফতাহুল জান্নাত, রায়হান হোসেন চৌধুরী ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আলভী বলেন, আমরা স্কুলে আসার সময় জামা ভিজে যায়। কাঁদার জন্য হাঁটতে পারি না। সাপ ও জোঁকের ভয়ে বারান্দা থেকে তো নিচে নামাই যায় না। কখনো ভিজে গেলে ক্লাস করতে পারি না।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতা ও কর্দমাক্ত পরিবেশের কারণে শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেকেরই পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও আগের চেয়ে কমেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাছিনা আক্তার বলেন, ১৯৯৪ সালে নির্মিত স্কুল ভবনের বিভিন্ন শ্রেণি কক্ষে ফাটলসহ স্কুলের মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে বিদ্যালয় মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনসহ ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ.কে.এম ফজলুল হক জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে স্কুল মাঠ ভরাটের জন্য অধিদপ্তরে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে। এছাড়া বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ কিনা তা পরিদর্শন করে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



