পাচারের সময় ৬টি বিপন্ন হিল ময়না বা পাহাড়ি ময়না উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় খাগড়াছড়ি শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে বিপন্ন প্রজাতির এসব পাখি উদ্ধার করেন বন বিভাগের কর্মীরা। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিঞা।
বন কর্মকর্তা ফরিদ বলেন, ‘একটি চক্র বিপন্ন প্রজাতির পাখিগুলো খাগড়াছড়ি থেকে ফেনীতে পাচার করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযানে নামি। ফেনীগামী একটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করা হয়। এ সময় গাড়িটি থেকে বাচ্চাসহ ছয়টি হিল ময়না উদ্ধার হয়। তবে বন বিভাগের কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। ময়নাগুলো উদ্ধার করে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। পাখিগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে এগুলো অবমুক্ত করা হবে।’
তিনি জানান, হিল ময়নাসহ যে কোনো বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বন বিভাগ কাজ করছে। গত চার বছরে বিপন্ন লজ্জাবতী বানর, গয়াল, বন বিড়াল, মায়া হরিণ, তক্ষক, হিল ময়নাসহ প্রায় ৩১টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও অবমুক্ত করেছে খাগড়াছড়ি বন বিভাগ।
পাহাড়ি ময়নার বৈজ্ঞানিক নাম Gracula religiosa। রিলিজিওসা শব্দের অর্থ, সুন্দরের দ্যোতক। ময়নার গায়ের পালক উজ্জ্বল কালো। রোদের আলোয় এই রং চকচক করে। তার ওপর কিছুটা সবুজ ও বেগুনি আভা। ময়নার মাথার পেছনের দিকে হলুদ আবরণে ঢাকা ত্বক। যেন রূপসীর গহনা বা কণ্ঠহার। বাসন্তী রঙের ঠোঁট। ডানার বড় পালকের আড়ালে কয়েকটি সাদা পট্টি থাকে। ময়নার পা হলুদ।
এরা সাধারণত বৃক্ষের উঁচু ডালে থাকতে পছন্দ করে। লম্বায় ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। হিল ময়না ২০১২ সালের বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সংরক্ষিত।