চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম নেওয়া এক নবজাতককে মৃত ঘোষণার পর কবর দেওয়ার আগে কেঁদে উঠে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের অবহেলাকেই দায়ী করেছেন শিশুর বাবা।
শেষ পর্যন্ত রোববার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারা গেছে ওই নবজাতক। শনিবার রাতে উপজেলার ১০ নম্বর মিঠানালা ইউনিয়নের পূর্ব মিঠানালা গ্রামের উমর আলী সারেং বাড়ির কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সাত মাস আগে বিয়ে হয় পূর্ব মিঠানালা গ্রামের ইউনুস আলীর সঙ্গে জেসমিন আক্তারের। স্ত্রী জেসমিন আক্তারের প্রসবব্যথা ও রক্তক্ষরণ হলে শনিবার সকালে মিঠাছরা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ইউনুস আলী অভিযোগ করে বলেন, সকালে বাচ্চা সুস্থ আছে বলে জানান ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শারমিন আয়েশা। এরপর আমার স্ত্রীর শরীরে স্যালাইন পুশ করার পর তীব্র পেটব্যথা শুরু হয়। ডা. শারমিন পরীক্ষা করে রোগীকে স্যালাইন দেওয়ার নির্দেশ দেন। বিকালে আলট্রাসনোগ্রাফি করে জানান– গর্ভের শিশু মারা গেছে। এদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রসব করানোর পর নবজাতককে মৃত ঘোষণা করলে একটি কার্টনে ঢুকিয়ে ৫ মাস ১৯ দিন বয়সি বাচ্চার লাশ বাড়িতে নিয়ে যাই।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে কবর খোঁড়াও হয়ে গেছে। পরে কবর দেওয়ার জন্য কার্টন খুলে দেখি বাচ্চা কান্না করছে। দ্রুত মিঠাছরা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে নবজাতককে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ অবস্থার জন্য ডা. শারমিন ও মিঠাছরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়ী।
এ বিষয়ে জানতে ডা. শারমিনের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।