বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যমুনা নদী ভাঙনের ফলে আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ। গত কয়েক দিনে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নতুন এলাকাতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, শীঘ্রই ভাঙন কবলিত এলাকায় দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জানা গেছে, বগুড়ার তিনটি উপজেলায় গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনিবার দুপুরে সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ছিল ১১.৮৭ মিটার। যা গত শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় পানি ৬০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের রৌহাদহ থেকে শুরু করে ইছামারা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি এলাকায় নদীতীরে নতুন করে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। এ ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের টিটুর মোড়ে ৫০ মিটার এলাকায় নদীতীরে নতুন করে ধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে সদ্য সমাপ্ত করা সিসি ব্লক ধ্বসে গেছে। এছাড়া এখানে ফেলা জিও ব্যাগগুলোও ধ্বসে গেছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে এ এলাকায় আবারো নতুন করে নদীভাঙনের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এখানে যমুনা নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।
সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাফি মন্ডল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, তীর সংরক্ষণ কাজ চলমান থাকা অবস্থায় পানি বৃদ্ধিতে সিসি ব্লক এবং জিও ব্যাগ ধ্বসে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে কামালপুর গ্রামের প্রায় ৫০০টি পরিবার পানিবন্দী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অতি দ্রুত ভাঙন কবলিত এলাকায় নদীভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করা প্রয়োজন।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের জন্য যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কামালপুর ইউনিয়নে নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যেই আমাদের তীর সংরক্ষণ কাজ চলমান রয়েছে। নতুন করে যেসব এলাকায় ধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।