প্রথম ৩২ মিনিটের মধ্যে দুবার পিছিয়ে পড়ে ইন্টার মায়ামি। প্রথমার্ধের শেষদিকে একটি গোল শোধ করে তারা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল দিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা। তবে এদিন মেজর লীগ সকারের এক নিয়মের কারণে ফ্রি কিক পেয়েও সেটা নিতে পারেননি অধিনায়ক লিওনেল মেসি। একই দিনে লীগে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় মেসিকে ছাড়িয়ে গেছেন লুইস সুয়ারেজ। মেজর লীগ সকারের ম্যাচে গতকাল ভোরে মন্ট্রিয়েলকে ৩–২ গোলে হারায় ইন্টার মায়ামি। মন্ট্রিয়েলের মাঠে ২–০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান কমান মাতিয়াস রোহাস। এরপর যোগ করা সময়ে লুইস সুয়ারেজ ও দ্বিতীয়ার্ধে বেঞ্জামিন ক্রিমাশ্চি করেন একটি করে গোল। এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে মেজর লীগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষে আছে মায়ামি। ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন– দুই কনফারেন্স মিলিয়েও শীর্ষে মেসি–সুয়ারেজদের দল।
রোহাস গোলটি করেন ফ্রি কিক থেকে। সাধারণত মায়ামির ফ্রি কিকগুলো নেন মেসিই। তবে এদিন মেজর লীগ সকারের নতুন নিয়মের কারণেই মেসি ফ্রি কিক নিতে পারেননি।
ঘটনা ম্যাচের প্রথমার্ধের ৪৩তম মিনিটের, মন্ট্রিয়লের ফুটবলার জর্জ ক্যাম্পবেল মেসিকে ফাউল করলে ফ্রি কিক দেন রেফারি। এমন ট্যাকলের কারণে মেসির প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হয়েছে। যেখানে ১৫ সেকেন্ডের বেশি সময় লেগেছে। এমএলএসের নতুন নিয়ম অনুসারে, প্রাথমিক চিকিৎসায় ১৫ সেকেন্ডের বেশি সময় নিলে দুই মিনিট মাঠের বাইরে থাকতে হবে। চলতি মৌসুম থেকেই এই নিয়ম চালু হয়েছে। মূলত এ কারণেই মেসির জায়গায় রোহাসকে ফ্রি কিক নিতে হয়।
যদিও রোহাস মেসির মতো বাঁ পায়েরই দুর্দান্ত এক ফ্রি–কিকে গোল করেন। তবে মেসি এমএলএসের এমন নিয়মে মোটেও খুশি নন। মাঠের বাইরে এক ক্যামেরার সামনে ক্ষিপ্ত মেসি বলেন, ‘এ ধরনের নিয়ম হলে আমরা ভুল পথে আছি।’ প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন সুয়ারেজ। এবারের মেজর লীগ সকারে এটি তার ১১তম গোল, যা মেসির চেয়ে একটি বেশি। ৫৯ মিনিটে মায়ামিকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন ক্রিমাশ্চি।