Wednesday, September 3, 2025
দি সাপ্তাহিক আলোর ফোয়ারা
  • হোম
  • ই-সংখ্যা
  • অডিও বই
  • গান
  • সকল সংখ্যা
  • তথ্য
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • বহির্বিশ্ব
  • সম্পাদকীয়
  • কিতাবুল মুক্কাদ্দাস
No Result
View All Result
  • হোম
  • ই-সংখ্যা
  • অডিও বই
  • গান
  • সকল সংখ্যা
  • তথ্য
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • বহির্বিশ্ব
  • সম্পাদকীয়
  • কিতাবুল মুক্কাদ্দাস
No Result
View All Result
দি সাপ্তাহিক আলোর ফোয়ারা
No Result
View All Result

তিন চ্যালেঞ্জে অর্থনীতি

alorfoara by alorfoara
May 6, 2024
in তথ্য, বাংলাদেশ, সংখ্যা ৭৮ (০৪-০৫-২০২৪)
0
0
SHARES
Share on FacebookShare on Twitter

মানুষের জীবনমানের সবচেয়ে বড় বাধা অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতি। পাশাপাশি রয়েছে দেশি–বিদেশি ঋণের ঝুঁকি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির শ্লথগতি। মূলত এই তিন চ্যালেঞ্জ নিয়েই আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার– এমনটাই বলছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, এবারের বাজেট একটি জটিল পরিস্থিতিতে প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। বর্তমানে দেশি–বিদেশি মিলিয়ে সরকারের ঋণ আছে ৪২ শতাংশ, যার প্রভাবে বিনিময় হারে টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে বলেও মনে করছেন তারা। তবে সরকারি নীতি নির্ধারকরা জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি মোকাবিলার পাশাপাশি আগামী অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় বাড়ানো হবে বরাদ্দ। আর রাজনীতিবিদরা বলছেন, আগামী বাজেট হতে হবে জনবান্ধব। অপচয় কমিয়ে বাজেটের প্রধান খাতগুলোয় বেশি নজর দিতে হবে।

আসন্ন ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা হতে মাসখানেক বাকি। আগামী অর্থবছরে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। এসব কিছুর মাঝেই বাজেট নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেমন হতে পারে বাজেট, কোন খাতে বরাদ্দ বেশি প্রয়োজন, কীভাবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি ঋণের ঝুঁকি থেকে মুক্তির উপায়ই বা কী– এসব নিয়ে জোরেশোরে আলোচনা চলছে। 

বর্তমান আর্থ–সামাজিক পরিস্থিতিতে আসন্ন বাজেটে জনগণের চাহিদা ও প্রত্যাশা নিয়ে ডিজিটাল জরিপ করেছে অর্থনীতির গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)। জরিপে দেখা যায়, আগামী বাজেট নিয়ে দেশের ৬৪ শতাংশ বা দুই–তৃতীয়াংশ মানুষের কোনও প্রত্যাশা নেই। এই জরিপে বাজেট নিয়ে ১৭ শতাংশ মানুষই কোনও মতামত দেয়নি। আর ১৯ শতাংশ মানুষ মতামত দিয়েছে। যারা মতামত দিয়েছে, তাদের মধ্যে ২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ শোভন কর্মসংস্থান, ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শিক্ষা ও ১২ দশমিক ০৯ শতাংশ মানুষ সামাজিক সুরক্ষায় জোর দেওয়ার কথা বলেছে। এছাড়া অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ, দক্ষতা উন্নয়ন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, কৃষি, স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্ব দিতে বলেছে তারা।

গতকাল ঢাকার একটি হোটেলে ‘নতুন সরকার, জাতীয় বাজেট ও জনমানুষের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমরা যখন এই জরিপ শুরু করি তখন প্রায় ৮৯ শতাংশ মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছে সিপিডিকে এই জরিপ করার জন্য। কিন্তু সরকারের কাছে বাজেট ধরে প্রত্যাশা কী–জানতে চেয়ে আমরা অবাক হয়ে দেখি যে, প্রায় দুই– তৃতীয়াংশ মানুষের বর্তমান সরকারের প্রতি কোনও প্রত্যাশা নেই। দেশের মানুষ এক জটিল অবস্থায় বর্তমানে রয়েছে।

বাজেট প্রত্যাশা নিয়ে জনমতের এই জরিপে ৬৬টি সংস্থার সাহায্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষের মত তুলে আনার চেষ্টা চালায় সিপিডি। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মাঠ পর্যায় থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সিপিডি জানিয়েছে। সিপিডির এই গবেষণার মূল প্রবন্ধ পাঠ করার সময় ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, জটিল আর্থ–সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থায় এবারের বাজেট ঘোষণা হতে যাচ্ছে। একইসাথে নতুন সরকার এবার বাজেট দেবে। যদিও যে উপায়ে নির্বাচন হয়েছে, তাতে দেশের মানুষের জনসন্তুষ্টি নেই।

দেশের অর্থনীতিতে ‘সমস্যার ত্রি–যোগ’ হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, তিনটি সমস্যা এবার মুখ্য। একটি সমস্যা– উচ্চ মূল্যস্ফীতি। সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়েই চলছে। দ্বিতীয়টি হলো– ঋণ ঝুঁকি। সরকার শুধু বিদেশ নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ ঋণও নিয়েছে। ঋণের কারণে বিনিয়োগ হারের উপর চাপ বাড়ছে। আমাদের এতদিন গর্ব ছিল, আমরা কোনওদিন খেলাপি হইনি। কিন্তু এবার তাতে চিড় ধরতে যাচ্ছে। তৃতীয় সমস্যা হচ্ছে– প্রবৃদ্ধির হার ধীর হয়ে গেছে। তাতে করে সরকারের খরচ করার হাত কমে গেছে। এখন আমাকে কেউ প্রশ্ন করতে পারে এই পরিস্থিতি কি পাল্টাবে? তাহলে আমি বলব, তা নির্ভর করবে দেশের আর্থ–সামাজিক অবস্থার উপর, উল্লেখ করেন দেবপ্রিয়।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, জিডিপিতে সরকারি ঋণ ৩৭ শতাংশ ও ব্যক্তিখাতের ঋণ ৫ শতাংশ। সবমিলিয়ে ৪২ শতাংশ ঋণের যে বোঝা আছে, সেটি সরকারকে ভোগাতে পারে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণে আর্থ–সামাজিক উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির ধারা থেমে গেছে। এছাড়া সরকারের খরচ করার সক্ষমতা কমেছে। আর তাই বাজেট যাই হোক না কেন, বাস্তবায়নে দুর্নীতি বন্ধ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি অর্থের অপচয় কমাতে হবে। আর অর্থনীতি সামলাতে দরকার সুশাসন, যা আসতে পারে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই।

সিপিডির গবেষণা বলছে, চলতি বছরের মার্চের তথ্য অনুযায়ী দেশে মূল্যস্ফীতি প্রায় ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং খাদ্য বাদে অন্যান্য জিনিসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সরকারের ঋণ বর্তমানে জিডিপির প্রায় ৩৬ শতাংশ এবং বেসরকারি পর্যায়ে ঋণ রয়েছে জিডিপির ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। ২০২১–২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, যা ২০২২–২৩ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। চলতি (২০২৩–২৪) অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি আরও কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। সরকারের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, তা অর্জনে অর্থবছরের বাকি মাসগুলোতে প্রবৃদ্ধি হতে হবে ১০ শতাংশ।
 

সিপিডি আগামী বাজেটে কিছু খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষা খাতে জিডিপির ৩ শতাংশের বেশি, স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ২ শতাংশের বেশি এবং সামাজিক সুরক্ষায় কম করে হলেও ৩ শতাংশ বরাদ্দ বাড়াতে হবে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেট যাই হোক না কেন, তা খরচের সময় যেন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা থাকে। ২ টাকা খরচ হলেও সেটা যেন ঠিকভাবে হয়, তা লক্ষ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি সংসদীয় কমিটির দায়িত্ব ঠিকঠাক পালনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

বাজেটে মৌলিক অধিকার ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ না বাড়লে বাংলাদেশের আগামীর লক্ষ্য পূরণ হবে না বলে মনে করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে, কিন্তু মানুষের বেতন বাড়ছে না। তাতে কিন্তু নতুন দরিদ্র তৈরি হচ্ছে। এবারের বাজেটের লক্ষ্য হবে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে মানুষকে আরও যুক্ত করতে হবে।

ভৌত কাঠামোগত উন্নয়নে খরচ করলেও বেশি জরুরি এখন মানবসম্পদ রক্ষায় খরচ করতে হবে। তা না হলে আমরা যেখানে বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চাই, সেখানে নিয়ে যেতে পারব না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। বিভিন্ন দুর্বলতা থাকলে সরকারকে তা স্বীকার করে নিতে হবে বলে মনে করেন ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, আমরা একটা উন্নয়নশীল দেশ। ফলে দুর্বলতা থাকবে। কিন্তু সেই দুর্বলতা স্বীকার না করলে তা কাটানো যাবে না।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাজেটকে আমরা জনগণের বলি। কিন্তু জনগণের সম্পৃক্ততা বাজেটে থাকে না। বর্তমানে কিছু পেশাজীবী বা ব্যবসায়িক সংগঠনের সাথে সভা করে সরকার। কিন্তু তাতে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয় না। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা নিতে হবে।

মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য এ কে আজাদ সিপিডির প্রশংসা করে বলেন, যে কথাগুলো আমাদের (সংসদ সদস্যদের) বলা উচিত, তা সিপিডি বলছে। আমাদের কাছে কোনও তথ্য থাকে না, কিন্তু সিপিডি সেই তথ্য শুধু সংরক্ষণই নয়– দেশের মানুষকে জানাচ্ছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবির সঙ্গেও একমত পোষণ করেন তিনি।

বেসরকারি সংস্থা গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, মানুষের অভিব্যক্তি দেখলেই বোঝা যায় বাজেট নিয়ে মানুষের কোনও প্রত্যাশা নেই। প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির যে বিশাল ফারাক তা, এই গবেষণায় উঠে এসেছে। তাই মানুষ সরকারের উপর প্রত্যাশা করতেও ভুলে যাচ্ছে।

জনগণের প্রত্যাশা না থাকলেও দাবি ঠিকই আছে বলে মনে করেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান। সভায় তিনি বলেন, যে টাকায় বাজেট বরাদ্দ হবে, তা কিন্তু আমার টাকা, জনগণের টাকা। সামষ্টিক অর্থনীতি, রাজনীতি বা দেশ কীভাবে চলবে, সেই দাবিগুলো কিন্তু এই জরিপে উঠে এসেছে। প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দ্বিতীয় প্রজন্মের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, শুধু শিক্ষার বিস্তার না, মানসম্মত শিক্ষা। শুধু স্বাস্থ্য না, মানসম্মত স্বাস্থ্য। একইসঙ্গে সামাজিক সুরক্ষা থেকে সামাজিক সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। আর তা না হলে বাংলাদেশের জন্য জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কঠিন হবে। এছাড়া আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সুরক্ষায় জিডিপির ৮ শতাংশ দাবি করেছি। গত বাজেটে তা ছিল ৪ শতাংশের মতো। তাহলে বাকি ৪ শতাংশ সরকার যদি বাড়ায়, তাহলে অন্য খাত থেকে কমাতে হবে। এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নেতাদের নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সভায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রামীণ ও শহুরে মানুষের চাহিদা ভিন্ন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গ্রামে মানুষ একটা ভালো রাস্তা চায়। স্বাস্থ্যখাতে আরও বেশি সেবা চান। কয়েকবছর আগেও যেখানে বিদ্যুৎ ছিল না, তারা এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছে। তারা এখন দাবি করছে টেকসই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের। গ্রামীণ মানুষদের এসব দাবি, তাদের চাহিদাকেও বাজেটে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। দেশের মানুষের মানসিকতা বদলানো প্রয়োজন দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের সব কিছু ঢাকায় হতে হবে, চট্টগ্রামে হতে হবে। নিদেন পক্ষে সিলেটে হতে হবে। কিন্তু সুনামগঞ্জ বা শাল্লায় হবে না। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। সরকারের অপচয়রোধে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন সাবেক এই মন্ত্রী।

সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সিন্ডিকেট না ভাঙলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভারত, শ্রীলঙ্কা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে, কিন্তু আমরা পারছি না। এর কারণ আমাদের এখানে ৪–৫টি কোম্পানি বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। সিন্ডিকেট কেন ভাঙা যাচ্ছে না– ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের এই প্রশ্নের উত্তরে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এরা খুবই শক্তিশালী। আমার থেকেও আপনারা বেশি ভালো জানেন, কেন ভাঙা যাচ্ছে না। দেশের মানুষের সরকারের প্রতি প্রত্যাশা নেই– এর কারণ হিসেবে তিনি সুশাসনের অভাবকেই দায়ী করছেন।

তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে মার্জার (একীভূত) করা হচ্ছে। আমরা ব্যাংকিং সেক্টরের সমস্যাগুলো ১০ বছর ধরে বলে আসছি, কিন্তু সরকার কানে তোলেনি। এখন আইএমএফ বলার পর সরকার কাজ করছে। এ থেকে বোঝা যায় সরকারের সুশাসনের অভাব কতটুকু। করোনার আগের ঊর্ধ্বগামী একটি অর্থনীতি কীভাবে এই অবস্থায় আসে? ওই সময় বিশ্ব বন্ধ হয়ে গেলেও আমাদের কল–কারখানা কিন্তু চলেছে। তাহলে সমস্যা কোথায়? রফতানি আমাদের কমেছে, কিন্তু এখনও ধনাত্মক ধারায় রয়েছে। তাহলে কোথায় যাচ্ছে এসব টাকা। আমাদের টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে শুধুমাত্র সুশাসনের অভাবে।

সংসদের বাজেট পেশ হলে দেখা যায় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা তার প্রশংসা করেন, আর বিরোধী দল সমালোচনা করছে। এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে সংসদে সবার দেশের জন্য ভালো হয়– এমন বিষয়ে খোলামেলা সমালোচনা করা উচিত।

ShareTweet
Next Post
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর চেস্টা চলছে

সুন্দরবনে আগুন নেভানোর চেস্টা চলছে

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

  • Amy1660 on ছাড়া পেলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
  • Valerie2737 on ছাড়া পেলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
  • Haven4448 on ছাড়া পেলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

Recent News

রাশমিকার ক্যারিয়ারে নতুন মোড়

রাশমিকার ক্যারিয়ারে নতুন মোড়

September 3, 2025
ভারত থেকে এলো ৬০ টন পেঁয়াজ

ভারত থেকে এলো ৬০ টন পেঁয়াজ

September 3, 2025
  • ১ করিন্থীয়
  • ২ করিন্থীয়
  • Home 2
  • Home 3
  • Home 4
  • Home 5
  • Home 6
  • Sample Page
  • অজানাকে জানা
  • অডিও বই
  • অভিযান
  • আমরা কীভাবে প্রার্থনা করি?
  • আলোর দিশারী
  • আলোর ফোয়ারা
  • আলোর যাত্রী
  • ই-সংখ্যা
  • ইউহোন্না
  • কিতাবুল মুক্কাদ্দাস
  • ক্যাটাগরি
  • খো-ই-মহব্বত্
  • খোদার নাজাত আপনার জন্যও প্রস্তুত
  • গান
  • গালাতীয়
  • জীবন দাতা
  • জীবনের আহবান- ৩
  • জীবনের আহবান-১
  • জীবনের আহবান-২
  • জীবনের আহবান-৪
  • দৃষ্টি খুলে দাও
  • নাজাত লাভের উপায় কী?- ১
  • নাজাত লাভের উপায় কী?- ২
  • নিবেদন
  • নূরের প্রদীপ
  • প্রশংসা গীত (কোরাস্)
  • প্রেরিত
  • বিজয়
  • বিমূর্ত প্রেম
  • মথি
  • মসীহ্ সম্বন্ধে আপনি কি চিন্তা করেন?
  • মার্ক
  • ম্যাগাজিন
  • যোগাযোগ
  • রোমীয়
  • লূক
  • সকল সংখ্যা
  • সম্পাদকীয়
  • সেতু

দি সাপ্তাহিক আলোর ফোয়ারা

No Result
View All Result
  • ১ করিন্থীয়
  • ২ করিন্থীয়
  • Home 2
  • Home 3
  • Home 4
  • Home 5
  • Home 6
  • Sample Page
  • অজানাকে জানা
  • অডিও বই
  • অভিযান
  • আমরা কীভাবে প্রার্থনা করি?
  • আলোর দিশারী
  • আলোর ফোয়ারা
  • আলোর যাত্রী
  • ই-সংখ্যা
  • ইউহোন্না
  • কিতাবুল মুক্কাদ্দাস
  • ক্যাটাগরি
  • খো-ই-মহব্বত্
  • খোদার নাজাত আপনার জন্যও প্রস্তুত
  • গান
  • গালাতীয়
  • জীবন দাতা
  • জীবনের আহবান- ৩
  • জীবনের আহবান-১
  • জীবনের আহবান-২
  • জীবনের আহবান-৪
  • দৃষ্টি খুলে দাও
  • নাজাত লাভের উপায় কী?- ১
  • নাজাত লাভের উপায় কী?- ২
  • নিবেদন
  • নূরের প্রদীপ
  • প্রশংসা গীত (কোরাস্)
  • প্রেরিত
  • বিজয়
  • বিমূর্ত প্রেম
  • মথি
  • মসীহ্ সম্বন্ধে আপনি কি চিন্তা করেন?
  • মার্ক
  • ম্যাগাজিন
  • যোগাযোগ
  • রোমীয়
  • লূক
  • সকল সংখ্যা
  • সম্পাদকীয়
  • সেতু

দি সাপ্তাহিক আলোর ফোয়ারা