চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের অ্যাসিড নিক্ষেপে ঝঁলসে গেছে ঘুমিয়ে থাকা মা রাশেদা আক্তার (৫৫) ও মেয়ে মিলি আক্তার (২০) এর শরীর। তন্মধ্যে মেয়ে মিলি আক্তার এর অবস্থা গুরুতর। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সফিকুল ইসলাম মানিক নামের যুবককে পুলিশ আটক করেছে।
রবিবার মধ্যরাতে উপজেলার সুজাতপুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর স্বজনরা তাদের দু’জনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি দেখা দিলে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
সোমবার দুপুরে ঘটনায় মিলি আক্তারের বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেছে। মামলায় দু’জনের নাম এবং অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামী করা হয়। যানা গেছে মিলি আক্তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার স্বামী মো: সায়েম প্রবাসে থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার এক যুবক মিলি আক্তারকে বিয়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। কিন্তু মিলি আক্তারের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। তবে বিয়ের পর মিলি আক্তার স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করতেন। এরই মধ্যে বাপের বাড়ি বেড়াতে এলে তিনি ও তার মা রবিবার রাতে এমন দুর্ঘটনার শিকার হন। এসিড আক্রান্তর স্বজন সাকিব হাসান জানান, রাতে মা ও মেয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় কে বা কারা জানালার ফাঁক দিয়ে বাহির থেকে এসিড ছুঁড়ে মারে। পরে তাদের চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে, আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, এসিডে মেয়ে মিলি আক্তারের মুখ, বুক, পিঠ ও ডান হাত এবং মা রাশেদা আক্তারের বাম হাত ও উরু ঝঁলসে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
মতলব উত্তর থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, এসিড ছুঁড়ে মারার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একই সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে রাতে সফিকুল ইসলাম মানিক নামে এক যুবককে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই যুবক মিলি আক্তারের বিয়ের আগে তাকে উত্যক্ত করতো। তাই সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করা হয়েছে।
