নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর শহরের আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা পাঁচটি ইটভাটাকে ২৭ লাখ টাকা জরিমানা ও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দুটি।
সোমবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইটভাটাগুলোতে অভিযান চালিয়েছে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার জানান, পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই গুরুদাসপুর পৌর শহরের আবাসিক এলাকায় এসব ইটভাটা ইট প্রস্তুত করে আসছিল। সরকারি কর ফাঁকি দেওয়াসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, গুরুদাসপুর পৌর শহরের আবাসিক এলাকার ৫টিসহ ১৩টি ইটভাটা রয়েছে; তার কোনো লাইসেন্স নেই। লাইসেন্সবিহীন এসব অবৈধ ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশের ক্ষতি করে ইট প্রস্তুত করছে। সরকারি অনুমোদন না থাকায় ইটভাটাগুলোতে সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় টগর প্রামাণিকের একেবি ও আমজাদ–মফিজের এএসবি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া একই অভিযোগে মোশাররফ হাজীর এমবিপিকে ৫ লাখ, জুমির উদ্দিন মন্ডলের এমজেডবির ৬ লাখ ও হাজী জাকির হোসেন সোনারের এসএআর ব্রিকসকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
নাটোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পৌর শহরের মধ্যে ইটভাটা গড়ে তোলা সম্পূর্ণ অবৈধ; কিন্তু সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে এসব ইটভাটা পরিবেশের ক্ষতি করে ইট প্রস্তুত করছে। প্রাথমিক পর্যায়ে দুইটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য ইটভাটার মালিকদের ইট প্রস্তুতের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধ এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।