দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র–সৈকত পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটায় বাড়ছে দেশি–বিদেশি পর্যটক। সেই সঙ্গে বেড়েছে হোটেল–মোটেলও। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, সমুদ্র–সৈকত এলাকায় পর্যটক যাত্রীদের জন্য একটি আধুনিক মানের বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এর অংশ হিসেবে শনিবার পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যটন ভিত্তিক শীর্ষক প্রকল্প এলাকায় বিমানবন্দরের স্থান চিহ্নিত করতে প্রাথমিকভাবে পরিদর্শন করেছে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এ দলটি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া এলাকা পরিদর্শন করে সম্ভব্য স্থান নির্ধারণ করে।
এ বিষয়ে প্রতিনিধি দলের প্রধান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পরিচালক প্রশাসন মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, এই এলাকায় প্রায় ৩ হাজার একর জমিতে বিমানবন্দর নির্মাণ হতে পারে। তাই প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের জমি পরিদর্শন করা হয়েছে।
এসময় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, এটিএম বিভাগের পরিচালক ও বেবিচক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বেবিচকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র–সৈকত কুয়াকাটায় দ্রুত বিমানবন্দর নির্মাণের তাগিদ দিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে শনিবার সাইট পরিদর্শন করা হয়। বর্তমানে কুয়াকাটায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের একটি পরিত্যক্ত বিমানবন্দর সদৃশ জায়গায় রয়েছে। তবে সেখানে কোনো ধরনের অবকাঠামোগত সুযোগ–সুবিধা ও বিমান ওঠা নামার জন্য রানওয়ে নেই। পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যটন ভিত্তিক শীর্ষক প্রকল্প পরিদর্শন টিমের মতামত ও সুপারিশ প্রদানের পর বিমানবন্দর নির্মাণ বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান জানান, ১৯৯৮ সালে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণার পর কুয়াকাটায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে দেশি–বিদেশি পর্যটক। সেই সঙ্গে বেড়েছে হোটেল–মোটেলও। এ অবস্থায় এখানে একটি বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে।