বিদেশ থেকে বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন ভুটানি নারী কার্মডেমা। তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। অনেক দেশ ঘুরেও পাননি সঠিক চিকিৎসা। এরপর বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে গত বছরের ১৩ই ডিসেম্বর আসেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে। চিকিৎসকরা বোর্ড গঠন করে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে ৯ই জানুয়ারি তার সফল অপারেশন করেন। কার্মডেমা এখন অনেকটা সুস্থ। কয়েকদিনের ভেতরেই তিনি দেশে ফিরে যেতে পারবেন। কার্মডেমা’র সুস্থ হওয়াটাকে দেশের চিকিৎসকরা সফলতা হিসাবে দেখছেন।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, নাকে ক্যান্সার আক্রান্ত ভুটানের মেয়ে কার্মডেমা’র সফল চিকিৎসায় বাংলাদেশি চিকিৎসকরা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, বিদেশ থেকেও খুব শিগগিরই দলে দলে মানুষ বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসবে। বিদেশিদের উপযুক্ত চিকিৎসাসেবা দেয়ার সেই সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।
তিনি বলেন, বিদেশে আমাদের দেশের মানুষ নিয়মিতই চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন। অনেক টাকা খরচ করে কেউ কেউ নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন।
অথচ আমরা আজ ভুটান থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কার্মাডেমা নামের যে রোগীকে চিকিৎসা করালাম। সফলভাবে চিকিৎসা নিয়ে রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় চলে এসেছে। তার এই চিকিৎসা সম্ভব নয় বলে ভারত ও অন্যান্য অনেক দেশ থেকে বলে দিয়েছিল। অথচ আমরা বাংলাদেশ থেকে তার চিকিৎসা সফলভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হলাম। রোগী সুস্থ অবস্থায় এখন ভুটান চলে যেতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিং চেং কুইং সিল বলেন, এই জটিল অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করে বাংলাদেশ সেটিই করে দেখিয়েছে, যা বিশ্বের অন্য দেশ পারেনি। বিশ্বের অন্য দেশগুলো যখন বলেছিল এই অপারেশন সম্ভব নয়, তখন বাংলাদেশ বলেছিল সেটি সম্ভব। বাংলাদেশ সেই অসম্ভব কাজকে সম্ভব করেছে। এজন্য আমরা বাংলাদেশের জনগণ, সরকার ও চিকিৎসকদের কাছে কৃতজ্ঞ।
কার্মডেমা বলেন, যখন আমি সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম, তখন বাংলাদেশের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট ও বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাকে আশ্রয় দিয়েছেন এবং সফল চিকিৎসা দিয়েছেন। এজন্য আমি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের কাছে কৃতজ্ঞ।