কোনোরকম আগাম সতর্কবার্তা ছাড়াই তিস্তা নদীতে পানি ছেড়ে দিয়েছে ভারত। দার্জিলিংয়ের সেবকের কালিঝোড়া ড্যাম থেকে গতকাল সোমবার দুপুরে পানি ছাড়ে পশ্চিমবঙ্গের সেচ দফতর। পানির চাপ সামলাতে গজলডোবার গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, একবারে প্রায় ৪ হাজার কিউমেক (১ লাখ ৪১ হাজার ২৫৮ কিউসেক) পানি ছাড়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শীত মৌসুমে বরফগলা পানিতে হড়পা বানের শঙ্কা থেকেই বিপুল এ পানি ছাড়া হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে এত পরিমাণ পানি ছাড়া হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য স্পষ্ট করে জানাতে চায়নি সেচ দফতর।
পানি ছাড়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ফ্লাড কন্ট্রোল সেন্টারে গণমাধ্যমের পক্ষে বারবার ফোন করা হলেও কোনো জবাব মেলেনি। শীতের মৌসুমে এত পানি ছাড়ার ঘটনা কার্যত বিরল। এতে অকাল বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের তিস্তার বিস্তীর্ণ অংশে।
তবে পানি ছাড়ার তথ্য স্বীকার করে জলপাইগুড়ির জেলা শাসক শামা পারভিন জানান, সোমবার বিকেল ৪টার পর সেবকের কালিঝোড়া থেকে আচমকাই প্রায় পাঁচ হাজার কিউমেক পানি ছাড়া হয়। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিস্তা নদী–সংলগ্ন এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর ফলে জলপাইগুড়ি ও মেখলিগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় তিস্তার পানিস্তর অনেকটাই বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে।
তিস্তায় বন্যার শঙ্কায় ইতোমধ্যে মাইকিং শুরু করেছে প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা সদরের মহকুমা শাসক তমজিৎ চক্রবর্তী জানান, তিস্তা ব্যারাজ থেকে পানি ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেজন্য আমরা নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক করেছি। এর পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।
