শেরপুর উত্তর গারো পাহাড় ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদীগ্রাম বাজারের নামে রেকর্ডিও জমি থাকা সত্ত্বেবও প্রতিদিন সীমান্ত সড়কের উপর বসছে সকাল ২ ঘণ্টার হাট–বাজার। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ক্রেতা–বিক্রেতা ও পথচারীরা।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী–ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী হয়ে জামালপুরের বকশিগঞ্জ পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সীমান্ত এই সড়কটি পর্যটকদের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা। শীত মৌসুমে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলে এই সড়ক পথে। হলদীগ্রাম, গুমরা, ফাঁকরাবাদ, মানিককুড়া, কুছাইকুড়া, নলকুড়া ও সমশ্চুড়াসহ আশপাশের প্রায় ১০টিরও বেশি গ্রামের শতশত কৃষকের উৎপাদিত সবজির পাইকারি কেনাবেচার একমাত্র হাট হলদীগ্রাম ২ ঘণ্টার এই সকাল বাজারে। এখান থেকে প্রতিদিন কয়েক মেট্রিক টন শাক–সবজি ঢাকার কাওরান বাজার, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। গুরুত্বপূর্ণ এই ২ ঘণ্টার সকাল বাজারটি প্রধান রাস্তার উপরে বসায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ওই পথ দিয়ে চলাচল করা যানবাহন, পথচারী ও ক্রেতা–বিক্রেতারা ও পর্যটকরা।
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজারের নিজস্ব জায়গায় বাজারটি সরিয়ে নেয়া হোক।
বাজারের ইজারাদার আব্দুস সালাম জানান, নলকুড়া ইউনিয়নের হলদীগ্রাম চৌরাস্তা এই ২ ঘণ্টার সকাল বাজারটি ৫ লাখ টাকা রাজস্ব জমা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন তিনি। কিন্তু সড়কের উপর বাজার বসায় ক্রেতা–বিক্রেতারা ঠিকমতো টোল দিতে চান না। এ নিয়ে প্রায়শই তাদের সঙ্গে ঝগড়া হয়। এঅবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আর ইজারাদারই পাওয়া যাবে না। এতে সরকারও রাজস্ব হারাবে।
স্থানীয়রা জানায়, জায়গার সমস্যা সমাধানকল্পে স্থানীয় সামছুদ্দিন খোকন ও আনোয়ার হোসেন বাজারের জন্য ১৫ শতক জমি দান করেন। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসেনর পক্ষ থেকে ওই জমি নির্ধারণও করে দেয়া হয়। কিন্তু একশ্রেণীর লোকজন নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে নির্দিষ্ট জায়গাতে দোকান না বসিয়ে মহাসড়কের উপরে দোকানপাট বসাচ্ছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।