প্রয়াত সাংবাদিক ও সংগীতব্যক্তিত্ব সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন আজ সোমবার। প্রতি বছর এই দিনটি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ‘সঞ্জীব উৎসব’। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে ‘সঞ্জীব উৎসব’।
সেখানে গান পরিবেশন করবেন লিমন, জয় শাহরিয়ার, মুয়ীজ মাহফুজ, সন্ধি, আহমেদ হাসান সানি, সাহস মুস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, শতাব্দী ভব, অর্ঘ্য, ঘুণপোকা, রাজেশ মজুমদার ও রাশেদ।
২০১০ সাল থেকে নিয়মিত আয়োজন করা হয় এই উৎসবের।
সঞ্জীব চৌধুরী ২৫ ডিসেম্বর ১৯৬৪ সালে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গোপাল চৌধুরী এবং মাতা প্রভাষিনী চৌধুরী।
নয় ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সপ্তম। ছোটবেলায় হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন সঞ্জীব। এরপরে ঢাকার বকশী বাজার নবকুমার ইনস্টিটিউটে নবম শ্রেণিতে এসে ভর্তি হন এবং এখান থেকে ১৯৭৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১২তম স্থান অর্জন করেন।
১৯৮০ সালে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও মেধা তালিকায় স্থান করে নেন।
এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে ভর্তি হন; কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা শেষ না করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন৷
সঞ্জীব গায়ক হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। পাশাপাশি একজন খ্যাতনামা সাংবাদিকও। দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও যায়যায়দিনে কাজ করেন। তিনি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের একজন কর্মী ছিলেন।
সঞ্জীব চৌধুরী বাইল্যাটারাল সেরিব্রাল স্কিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর আকস্মিকভাবে অসুস্থ বোধ করার কারণে তাকে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিন দিন পর নভেম্বর ১৯ আইসিইউতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে সঞ্জীবের বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। এই গায়ক ও সাংবাদিকের মৃত্যুর তিন বছর পর থেকে অর্থাৎ, ২০১০ সাল থেকে নিয়মিত আয়োজন করা ‘সঞ্জীব উৎসব’।